কৌশলী বাজেটে নজর সরকারের
অনলাইন ডেস্ক:
অর্থনীতিতে অস্বস্তি গত কয়েক মাস ধরেই। রপ্তানি বাড়লেও, কমেছে প্রকৃত মূল্য সংযোজন। ওঠানামার মধ্যে প্রবাসী আয়। আমদানির লাগাম টানায় বিনিয়োগ এবং নতুন কাজের সুযোগ তৈরি নিয়ে আছে দুশ্চিন্তা। বিপরীতে, নিতপণ্য আমদানি করতে গিয়ে রাজকোষ খালি হবার যোগাড়। এমন বাস্তবতায় শুরু হয়েছে নতুন বাজেট তৈরির প্রক্রিয়া।
কয়েক মাস ধরে ব্যয় সঙ্কোচন নীতিতে চলা সরকার, সেই প্রতিফল রাখতে চায় এবারের বাজেটে। ফলে আকার নিয়ে মাতামাতি নেই খুব একটা। তবু প্রাথমিক হিসাবে সেই অঙ্ক যেতে পারে সাড়ে সাত লাখ কোটির কাছাকাছি। যাতে ৩ লাখ কোটির মধ্যে থাকবে উন্নয়ন খরচ। তবে এই সঙ্কটেও প্রবৃদ্ধি আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য থাকতে পারে কিছুটা উচ্চাভিলাষী।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখা, আবার পূর্বের প্রবৃদ্ধিতে ফিরিয়ে আনা একটা বড় চ্যালেঞ্জ এখন আমাদের জন্যে। এই কঠিন সময়ে বাজেট প্রণয়ন সতর্কতার সঙ্গে অনেকটা কৌশলীভাবে করতে হবে। উন্নয়ন বাজেটে এবার আমরা অনেক সংযত হব। প্রকল্প দেখে-শুনে বাছাই করে নিব। তাই এবার প্রকল্পের সংখ্যা কম হবে আগের চেয়ে।
অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ। যদিও আইএমএফের শর্ত মেনে ২০২৩-২৪ এ তা বাড়াতে হবে প্রায় ৭০ হাজার কোটি। ফলে কর প্রশাসন এবং ব্যবস্থাপনায় আমূল বদলের আভাস আশা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। বিপরীতে জিনিসপত্রের চড়া দামে চাপে পড়া গরিব মানুষকে বাঁচাতে দরকার আরও বেশি বরাদ্দ। কিন্তু টাকার সঙ্কটে থাকা সরকার এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাবে কীভাবে, সেটিই বড় প্রশ্ন বিশ্লেষকদের কাছে।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সঙ্কট সামাল দেয়া এই বাজেটে থাকতে হবে দরিদ্রদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ।
সরকারের চলতি মেয়াদে নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট হতে যাচ্ছে এটি। ফলে জনতুষ্টি আর ভোটের হিসাব মেলানোর প্রতিফলন থাকতে পারে নতুন আর্থিক দলিলে।