নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জেলা আ. লীগের

0 223

অনলাইন ডেস্ক:

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা শেষে এ দাবি জানানো হয়।

পরে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ পিয়ার স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংসদ সদস্য নিক্সনের ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক বরাবর সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়াকে নিয়ে সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগ বিস্মিত হয়েছে। তার এমন বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানায়।

গত ১৬ মার্চ ফরিদপুরের ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ বাজারে এক পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডীলর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সাবধান হইয়া যান। আপনি (কাজী জাফরউল্লাহ) ফাইজু মিয়ার মতো ডাকাতরে দিয়া আমারে গাইলায়েন না। নিক্সন চৌধুরী কী এলাকার মানুষ জানে। আপনি বঙ্গবন্ধুর নৌকারে ডুবাইছেন। আপনে তো রাজাকার, রাজাকারের বাচ্চাও।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে বিজয়ের পর এলাকায় এলে মুরুব্বিরা পরামর্শ দেন তুমি দুই-দুইবার এমপি হইছো, মানুষের জন্য কাজ কর। তুমি উনাকে (জাফরউল্লাহ) নিয়া আর কথা বইল না। আমি চুপ থেকেছি। কিন্তু হঠাৎ এসে তিনি আবোলতাবোল বকছেন, আমার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার (কাজী জাফরউল্লাহ) বয়স ২৭-২৮ বছর ছিল, তাহলে সনদ কই? আপনি ছাত্রলীগ-যুবলীগ কবে করেছেন? আপনি তো পাকিস্তান সেনাদের সঙ্গে নৌকায় ঘুরেছেন, চাল সাপ্লাই দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আমার নেতাকর্মীর কোনো ক্ষতির চেষ্টা করলে এমন দাবড় দেব, পদ্মাও পার হতে পারবেন না।’

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফকে উদ্দেশ্য করে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন বলেন, ‘জাফরউল্লাহ আপনি ভোট চাইবেন চান, আপনার বিগত দিনের জন্য ভুল স্বীকার করেন, মানুষের কাছে ক্ষমা চান। অথচ, আপনি আইস্যা ওই নগরকান্দার থেকে লোক আনেন, ফরিদপুর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি (ইশতিয়াক আরিফ) ফেনসিডিল খোরদের নিয়া মঞ্চে ওঠেন ও আমারে থুথু দেন। আমি নিক্সন চৌধুরী কে? আমি নিক্সন চৌধুরী ভাঙ্গা-সদরপুর-চর ভদ্রাসনের জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমপি।’

সংসদ সদস্য নিক্সন আরও বলেন, মানিকদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানকে খুন করছেন আসলাম। তার ফাঁসির রায় হইছিলো। অথচ, জাফরউল্লাহ রাষ্ট্রপতির কাছে ও প্রধানমন্ত্রীর পা ধইরা ক্ষমা চাইয়া আসলামরে বাঁচাইলেন।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.