আগামী সপ্তাহে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, সম্ভাব্য গতিপথ বাংলাদেশ, ওড়িশা!
অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় মোখার আছড়ে পড়া নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু কোথায় আছড়ে পড়বে, কত গতিতে আছড়ে পড়বে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
তবে মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ‘মোখা’ আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশায়। এছাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা এবং তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টি হবে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে আগামী পাঁচ দিন শিলাবৃষ্টি হতে পারে। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, লাদাখ, কাশ্মীর, সিকিম, মহারাষ্ট্র, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় অসম ও তেলঙ্গানা।
‘মোখা’র আছড়ে পড়ার সম্ভাব্য অঞ্চল বিশাল। তার গতিপথের মধ্যে ওড়িশা থেকে মিয়ানমার। তার মাঝে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ। ফলে এই বিশাল অঞ্চলের কোথায় ‘মোখা’ তাণ্ডব চালাবে, এখন সে দিকেই নজর আবহবিদদের।
বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে সেটি কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যদি সেই ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ মিয়ানমারের দিকে এগোতে থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় ঢুকতে খুব বেশি সময় নেবে না। ফলে আরও শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ পাবে ‘মোখা’। তবে যাত্রাপথ যদি দীর্ঘ হয়, সে ক্ষেত্রে এর শক্তি কিছুটা ক্ষয় হতে পারে। শুধু তাই-ই নয়, সমুদ্রের উপরিভাগের তাপমাত্রা যদি ঝড়ের শক্তিসঞ্চয়ের অনুকূল না হয়, তা হলে স্থলভাগে পৌঁছনোর আগেই ঝড়ের গতি কমে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা এখন ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ঝড়কে আরও শক্তিশালী করার পক্ষে অনুকূল।
বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাবে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে ৮ মে। তার পর সেটি ৯ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৯-১০ মের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যে নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হবে, তার প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৮-১১ মের মধ্যে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
জেলেদের ৭ মে-র মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৬০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও সেটি ১০০ কিলোমিটার বেগেও পৌঁছতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার