সব সময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, ভোগের নয় : রাষ্ট্রপতি
অনলাইন ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, “কোনো সমাজ ব্যবস্থা ধার করে চলে না। মানুষের ইচ্ছার ভিত্তিতে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আমি সব সময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, কখনও ভোগের রাজনীতি করিনি।”
আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনেক মতবাদ দেখেছি, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি মুজিবাদর্শ বা মুজিববাদের ওপর বিশ্বাস করেই। তখন কোনো মতবাদই কাজে লাগেনি। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারাই কাজে লেগেছে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি এবং দেশ স্বাধীন করেছি।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। ৭০ এর দশকে নিজের ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে ওই সময়ের অনেক গুণী সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি।
নিজের সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনেক গৌরবোজ্জ্বল দিন এই প্রেসক্লাবে অতিবাহিত করেছি। বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ৭০ থেকে ৭৫ জনকে চাকরি দিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিদান নেইনি। আমি সব সময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, কখনও ভোগের রাজনীতি করিনি।’
গত ২৪ এপ্র্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজ জেলা পাবনাতে এটাই তাঁর প্রথম সফর।
রাষ্ট্রপতি প্রেসক্লাব চত্বরে পৌঁছালে স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ প্রমুখ।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনার বিসিক শিল্পনগরীতে ‘স্কয়ার লাইফ সায়েন্স লিমিটেড’ এর ফলক উন্মোচন করেন। রাষ্ট্রপ্রধান সেখানে এক দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের চার দিনের পাবনা সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ সকালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নগরী পরিদর্শন করেন। সেখানে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস. চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপতি স্কয়ার লাইফ সায়েন্সেস লিমিটেডের উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন।