সেই মোতালেবের পেট থেকে বের করা হলো আরও ৮ কলম

0 151

অনলাইন ডেস্ক:

বিনা অস্ত্রোপচারে আরও আটটি কলম বের করা হয়েছে সেই মানসিক প্রতিবন্ধী আব্দুল মোতালেবের পেট থেকে। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার পেট থেকে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করে আনেন চিকিৎসকরা।

এ নিয়ে দুই দফায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই মোট ২৩টি কলম বের করা হলো ওই রোগীর পেট থেকে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ওই রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করা হয়।

ভুক্তভোগী রোগী মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার খুকনি আটার দাগ গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। মোতালেব ৪-৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে এসব কলম আস্ত গিলে খেয়েছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা।

জানা গেছে, রোগীটি প্রথমে পেটে ব্যথা নিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিল। পরে মেডিসিন ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করেও পেটে কি সমস্যা সেটা শনাক্ত করতে পারছিলেন না। পরে তাকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খানের কাছে পাঠানো হয়। এরপর এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে পরীক্ষা করে তার পেটের ভেতর এতগুলো কলম দেখে প্রথমে চমকে যায় ওই চিকিৎসক, এটা কীভাবে সম্ভব। পরে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে অপারেশন ছাড়াই কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মোতালেবের মা লাইলী বেগম বলেন, এক বছর ধরে আমার ছেলে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরও সে সুস্থ হয়নি। ১৫ দিন আগে সমস্যা আরও বাড়ে তার। তখন সে খেতে পারতো না, খালি বমি করতো। এ কারণে তাকে এ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আনার পর তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটের মধ্য থেকে কলমগুলো বের করে এনেছেন চিকিৎসকরা।

তিনি আরও বলেন, ১২ বছর ধরে আমার ছেলে মানসিক রোগী। তাকে মানসিক চিকিৎসকও দেখানো হয়েছে। সে কলমগুলো না বুঝেই খেয়ে ফেলেছে।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে তার পেট থেকে আরও আটটি কলম বের করা হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম তার পেটে আর চারটি কলম আছে। কিন্তু আজ বের করার সময় দেখি আটটি। বর্তমানে তার পেটে আর কোনো কলম নেই এবং এখন সে সুস্থ আছে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.