এবার রাশিয়ার রাজধানীতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আকাশ পথে হামলা জোরদার করছে রাশিয়া। চলতি মাসটিতে অন্তত ১৭ বার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। আজকের (মঙ্গলবার) হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ বলে অভিহিত করেছে রাশিয়া। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভে তৃতীয়বারের মতো বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। মূলত ইউক্রেনজুড়েই চলছে এই যুদ্ধ। তবে, নিজেদের ভূখণ্ডেও বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতে একটি হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি ক্রেমলিনের।
আজ ভোরের দিকে মস্কোর অভিজাত এলাকাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পুতিনসহ রাশিয়া অন্যান্য ধনী ব্যক্তিরা ওই এলাকায় বাস করেন। হামলায় দুজন আহত ও বেশ কয়েকটি ভবনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মস্কোর মেয়র। তার মতে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিয়েভ থেকে আসা আটটি ড্রোন ভূপাতিত বা লক্ষ্য থেকে বিমুখ করা হয়েছিল। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে ‘বাজা’ নামের একটি চ্যানেলে বলা হচ্ছে, ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এই চ্যানেলটির সঙ্গে রাশিয়ার সিকিউরিটি সার্ভিস সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মস্কোর বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে পেট্রোলের গন্ধ পান তারা। এরপর তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। কেউ কেউ একটি ড্রোনকে লক্ষ্য করে গুলি করতে দেখে। পরে, মস্কোর আকাশে ধোঁয়া দেখা যায়।
আজকের সকালের ড্রোন হামলাকে গুরুতর বলে অভিহিত করেছেন আইন প্রণেতা ম্যাক্সিম ইভানভ। তিনি বলেন, ‘নাৎসিদের পর মস্কোর ওপর সবচেয়ে গুরুতর হামলা এটি। কোন নাগরিকই নতুন বাস্তবতা এড়াতে পারে না। আপনি হয় আমাদের মাতৃভূমির শত্রুকে পরাজিত করবেন, নয়তো কাপুরুষতা, সহযোগিতা ও বিশ্বাসঘাতকতার অদম্য লজ্জা আপনার পরিবারকে গ্রাস করবে।’
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মস্কোতে দুটি ড্রোন বিস্ফোরিত হয়। ওই হামলার জন্যও কিয়েভকে দায়ী করেছিল ক্রেমলিন। তবে, তারা তা অস্বীকার করে।
আজকের হামলার বিষয়ে রাশিয়ার আইন প্রণেতা আলেকজেন্ডার খিনসেতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা আরও বাড়বে। আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও বাড়াতে হবে।’
এদিকে, আজকের হামলার দায় নিতে অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, ‘এই হামলার জন্য কিয়েভ দায়ী না। তবে, আমরা এটি দেখে খুশি হচ্ছি।’ আরও হামলা হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছেন পোডোলিয়াক।