মুসলমান রোহিংগাদের খৃষ্টান বানানো হচ্ছে
রোহিংগা মুসলমানদের খৃষ্টান করতেই কি পোপের আগমন! ? রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর হাঁটছি একটি কাজে। হঠাৎ একটি দৃশ্য আমার পা দুটোকে আটকে দিল। একটি ঝুপড়িতে কয়েকজন মেয়ে বসে আছে। বিদেশী মেয়ে! এতটুকুর মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকলে থমকে দাঁড়ানোর কিছু ছিলো না। দাঁড়ালাম যা দেখে তাতে তো আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েগেলো!
আমার ধারণা হলো ওরা মিডলইস্ট থেকে এসেছে। তাই আমি আরেকটু এগিয়ে গেলাম। মুখে হাসি মেখে আরবিতে জানতে চাইলাম, মিন আইনা আনতুম? জবাব এলোনা!
আবার বললাম, ইউ আর ফ্রম? জবাবে যা এলো তাশুনে আমি তো পুরাই অবাক হয়ে গেলাম! একদম স্পষ্ট বাংলায় জবাব এলো, আমরা ইংল্যান্ড থেকে এসেছি! এরপর আমিও বাংলাতেই কথা বলতে শুরু করলাম।
আপনারা কি দু‘জনই? না, আমরা চল্লিশজনের একটি টিম এসেছি! সবাই কি মেয়ে? হ্যাঁ, সবাই মেয়ে আপনাদের মাঝে কি কোন মুসলিম মেয়ে আছে? না, নেই! আপনারা কি কাজ করছেন রোহিঙ্গাদের জন্য? ত্রাণ বিতরণ! আর? আর কিছুনা!
হে মুসলমান! ভাইয়েরা তোমার হয়তো বিশ্বাস হবেনা, ওরা ত্রাণ দিতে আসেনি। বরং এসেছে ঈমান হরণ করতে! আমি স্পষ্টভাবেই দেখলাম, ওরা ব্যাগে করে মেয়েদের মাথার তেল, নখ কাটার মেশিন ইত্যাদি নিয়ে এসেছে। (ছবিতে দেখতে পারবেন। ছবি তুলেছি কৌশলে। তুলতেই দিতে চায় নি!)
মেয়েদের মাথায় নিজ হাতে তেল লাগিয়ে দিচ্ছে, নিজের হাতে নখ কেটে দিচ্ছে! যেন মায়ের আদর,স্নেহে ভরিয়ে দিচ্ছে! প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মা/মেয়ে উভয়কে নানাভাবে আনন্দ দিচ্ছে! জানিনা,ওদের প্ল্যান কি? এই মায়ার জালে ফেলে মুসলিম নারী ও শিশুদের ওরা কোন ফাঁদে নিয়ে ফেলবে! আমার তো আশঙ্কা হচ্ছে, আরাকানি, রোহিঙ্গা ভাই-বোনেরা ঈমান বাঁচাতে মুসলিম দেশে এসে খ্রীস্টানদের ধূর্ততার জালে আটকা না পড়ে যাচ্ছে!
সতর্ক হওয়ার এখনি সময়! আপনি আমি জোশের ঠেলায় মসজিদে মসজিদে বাজারে বাজারেগিয়ে কালেকশন করে ওদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করে সেই যে সেই একবার দিয়ে চলে গিয়েছি আর কি ওদের খবর রেখেছি? ওদের ঈমান রক্ষার সুদূরপ্রসারি কোন চিন্তা ফিকির কি আমরা করেছি? বাচ্চাদের, মা-বোনদের, যুবকদের, বয়স্কদের? তেমন কোন ফিকির আমরা করিনি। কেউ কেউ করছে কি না, জানিনা। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা যে, এই মহা বিপর্যয় ওদের জন্য যেমন পরিক্ষা, আমাদের জন্যও!
আমরা চলে গিয়েছি, ওরা এসেছে। কোটি টাকার বাজেট নিয়ে! মহান আল্লাহ পাক হিফাজত করুন!! বিভিন্ন মতামত আসছে। লেখাটি আরো বাড়িয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধে পরিণত করা যেতো বাট সময় নেই। কত খবর যে পড়ে আছে, সবগুলো লেখার সুযোগ হয় না।
শুধু এতটুকুই বলি, কুতুপালং ক্যাম্পে ৯৫ টি পরিবার খ্রীস্টান হয়ে গেছে। এসব কি একদিনেই হয়েছে?