পাকিস্তানকে ছাড়াই এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে এসিসি!

0 288

অনলাইন ডেস্ক:

আয়োজক পাকিস্তানকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ, এমন বোমাফাটানো তথ্য দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। পিসিবির হাইব্রিড মডেলে সম্মত নয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। শুধু শ্রীলঙ্কায় আসর আয়োজনের পক্ষে এসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। এদিকে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাকিস্তান-ভারতের চলমান দ্বন্দ্বে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করবে আইসিসি।

ছয় দলের এশিয়া কাপে পিসিবির হাইব্রিড মডেল নিয়ে আপত্তি ছিল শুধু ভারতের। সে মডেল অনুযায়ী ভারতের সবগুলোসহ অধিকাংশ ম্যাচ হবে পাকিস্তানের বাইরে আরব আমিরাতে। ৪-৫টি ম্যাচ নিজেদের মাটিতে খেলবে পাকিস্তান। কিন্তু বিসিসিআইয়ের আগ্রাসনে বেঁকে বসেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।

কেননা বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ফর ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক যিনি সেই জয় শাহই এসিসির চেয়ারম্যান। তাই নাকচ হয়ে গেছে পিসিবির হাইব্রিড মডেল। শুধু শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজনের পক্ষে এসিসি। এতে করে আয়োজক পাকিস্তানের আসরে অংশগ্রহণ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এতে করে বিশ্বকাপে বাবর আজম- রিজওয়ানদের না খেলার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।

এদিকে দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এসিসির পরবর্তী কার্যনির্বাহী বোর্ড সভায় পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে বলা হবে যে অন্যান্য সমস্ত অংশগ্রহণকারী দেশ শ্রীলঙ্কায় খেলতে সম্মত হয়েছে। পিসিবি যদি এই সিদ্ধান্ত না মানে তাহলে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এই চারটি দলই মাঠে নামবে। পঞ্চম দলকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

এশিয়া কাপ নিয়ে ধোঁয়াশার মাঝে পাকিস্তান সফর করেছেন আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে এবং প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস। যে কোন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যেন অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হতে চলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেয় সে ব্যাপারে আলোচনা করতেই আইসিসির প্রধান দু’কর্তার আগমন।

তবে পাকিস্তানের শর্তে এশিয়া কাপ প্রাধান্য পায়নি। ২০২৫ এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে পাকিস্তানে আসার গ্যারান্টি চেয়েছে পিসিবি। সে আসরের আয়োজকও পাকিস্তান। যদিও ভারতে পাকিস্তানের খেলতে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টা নির্ভর করছে দেশটির সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর জানিয়েছেন পিসিসি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামসহ দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বার্কলে ও অ্যালারডাইস। পাকিস্তানে ক্রিকেটের যেকোন বৈশ্বিক আসর আয়োজনের জন্য নিরাপদ মনে করছেন তারা। এতে করে অদূর ভবিষ্যতে ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় দ্বন্দ্বে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থাকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.