ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে আ.লীগ নেতার পদত্যাগ
অনলাইন ডেস্ক:
সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির, মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বুধবার (১৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। মো. শাহ আলম হাওলাদার (৪৫) কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং সাবেক কাউন্সিল।
লিখিত বক্তব্যে শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাত পাখা মনোনীত প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেন। যে কারণে আমি মন থেকে অনেক ব্যতীত হয়েছি। তাই একজন মুসলমান হিসেবে এই দলে আর থাকতে চাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতির বেশ কিছু কার্যকলাপে আমি অতিষ্ঠ এবং ক্ষুব্ধ। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে যোগদানের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।’
শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘আমি আমার পুরো জীবন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। গত ৩০ বছর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকে একজন একনিষ্ঠ আওয়ামী কর্মী হিসেবে কাজ করছি। তবে আওয়ামী পন্থী কিছু লোক একজন আলেমের ওপরে হামলা করায় আমি বেশ ব্যথিত হয়েছি। আমি একজন মুসলমান হিসেবে এই হামলার প্রতিবাদ স্বরূপ আওয়ামী জীবনের ইতি টেনেছি।’ওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম হাওলাদার
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. বারেক মোল্লা বলেন, ‘কুয়াকাটা পৌরসভায় শাহ-আলম হাওলাদার হাতপাখা নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্নে গত কয়েকমাস ধরে হাতপাখার পিছনে ছুটছে। তিনি দলীয়ভাবে এখন পর্যন্ত কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি।’
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের ওপর একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্নক জখম করে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে সংগঠনটি।FbV