৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ‘ভণ্ডপীর’ গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে লিচু দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ‘ভণ্ডপীর’ ইকবাল শাহ সুন্নি আল কাদেরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রোববার (১৮ জুন) রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় ‘ভণ্ডপীর’ ইকবাল শাহ সুন্নি আল কাদেরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
সোমবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে লিচু দেওয়ার কথা বলে নিজের আস্তানায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ইকবাল। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়। এরপর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যায় পীর।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম ইকবাল শাহ। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে।
পুলিশ বলছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ঘটনার পর ওই পীর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী শিশুটির মা বলেন, এলাকার একটি চক্র এ বিষয়ে তাকে মামলা না করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা চেয়েছিল এ ঘটনার মীমাংসা করতে। পরে তিনি ৬ জুন রাতে দেবিদ্বার থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইকবাল শাহ নিজেকে পীর দাবি করে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে ‘সাইচাপাড়া দরবার শরীফ’ নাম দিয়ে আস্তানা দিয়েছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, দরবার শরিফের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন ভণ্ডপীর ইকবাল। বাড়িতে প্রায়ই গাঁজার আসর বসাতেন তিনি। মাঝেমধ্যে ওরশ করতেন। সেখানে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কাজ চলতো। তার এসব কাজে সহায়তা করতো স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। তাই তার অসামাজিক কর্মকাণ্ডে কেউ প্রতিবাদ করত না।