জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন পালন
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম শাখা কর্তৃক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে পেশাজীবি সমাবেশ ও আলোচনা সভা অদ্য রাত ১০.০০ ঘটিকায় স্থানীয় এক রেস্তোরায় সংগঠনের চিকিৎসক সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মো: জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ডা: মো: বেলায়েত হোসেন ঢালীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি জনাব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সম্মানিত উপদেষ্টা প্রকৌশলী কাজী মো: সুফিয়ান, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ড্যাব, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম পরমানু কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা: তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, ড্যাবের উপদেষ্টা ডা: মো: আবুল কালাম, প্রকৌশলী সেলিম মো: জানে আলম, সাংবাদিক নেতা মো: শাহ নেওয়াজ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক ডা: কামরুন নাহার দস্তগীর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা: এস.এম সারোয়ার আলম। আরও বক্তব্য রাখেন ডা: এ,এম রায়হান উদ্দীন, ডা: মো: আব্বাস উদ্দীন, ডা: শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুন, ডা: কাজী মাহাবুব আলম, ডা: ময়নাল হোসেন, ডা: তানভীর হাবিব তান্না, ডা: রানা চৌধুরী, ডা: ইফতেখার হান্নান, ডা: মো: মোদ্দাচ্ছির রহমান, ডা: আরফান খান নিবিড়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন বর্তমান অনির্বাচিত সরকার বিএনপি’র আতঙ্কে ভুগছে চরমভাবে। তাই শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে বিরতিহীনভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, তারুণ্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে তাদের সবচেয়ে বেশী আতঙ্ক দেখা যায়। কারণ জনাব তারেক রহমান হচ্ছেন দলের ভবিষ্যত নেতা। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানি মূলক বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে সাজানো ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার করে সাজা দিতে চায় যাতে তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন। কিন্তু আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই তারেক জিয়া কোনো হাইব্রীড নেতা নয়। তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি শুরু করে দলের প্রাথমিক সদস্য হিসাবে কাজ করতে করতে আজকের জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন। তাছাড়া তিনি ১/১১ সরকারের রোষানলে পড়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে এসে চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। আমরা আশা করি অচিরেই চিকিৎসা শেষে আমাদের মাঝে ফিরে এসে আবারও দলের হাল ধরবেন, এতে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ নেই। ইনশাল্লাহ। আগামী বছর ৫৪তম জন্মদিন তারেক রহমানকে নিয়েই আমরা উদযাপন করব এই প্রত্যাশা রইল।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা: জসিম উদ্দিন বলেন দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে তারেক রহমানের বড়ই অভাব অনুভব করছেন সমগ্র জাতি। আইনের শাসনবিহীন এই জগদ্দল সরাকরের হাত থেকে উদ্ধার পেতে জাতি বিএনপি তথা বেগম খালেজা জিয়া, তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিএনপি’র মধ্যে তারেক জিয়াই সর্বপ্রথম পেশাজীবীদের নিয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কারণ সমাজে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের সাথে জনগণের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা: সারোয়ার আলম বলেন সরকার বিএনপি’র বিরুদ্ধে বিরতিহীনভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। তারই অংশ হিসেবে বেগম খালেজা জিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের গাড়ি বহরে সরকারী দলের ছত্রছায়ায় হামলা করে উল্টো বিএনপি’র চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সংগ্রামী সভাপতির ডা: শাহাদাত হোসেনের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচার করে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মামলা সাজানোর পরিকল্পনা করছেন। যাহা দেশবাসী তথা চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণ কোন দিন মেনে নিবে না।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাত ১২.১ মিনিটে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন করা হয় এবং রোগ মুক্তি কামনা করা হয়।