যদি আগের মত ভালবাসো
যদি আগের মত ভালবাসো
তবে আবার লিখবো কবিতা,
পঙক্তিগুলো ভাসবে ভালবাসার স্রোতে
নব্য প্রেমে মুগ্ধ রবে পাঠক শ্রোতা।
যদি আগের মত চোখে চোখ রাখো
দেখবে দু’চোখে আবেগের বন্যা,
কবিতার চরণে চরণে থাকবে উম্মাদনা
স্মৃতিরাও ভুলে যাবে জীবনের বৈরী বেদনা।
যদি আগের মত একটু স্পর্শ করো
আবার নিষ্প্রভ মনে হবে ভালবাসার সঞ্চারণ,
বন্দী প্রেম মুক্তি পাবে লিখনি ধারায়
কুসুমিত যৌবনরসে হবে কাব্য সৃজন।
যদি আগের মত চুম্বন আঁক উষ্ণ ঠোঁটে
তবে হৃদয়ের চঞ্চলতা অনুভব করবে,
পাহাড়ি বালিকার সাবলীলতায়
রচিত হবে কাব্য গাঁথা
অকপটে বলে যাব কিছু না বলা কথা।
যদি আগের মত ভালবাসোও
তবে একটি প্রেমময় মহাকাব্য লিখবো,
যেখানে বুনবো শত কল্পকথা মনের
যুগল প্রেমের আলিঙ্গনে।
একটু ভালবাসো
গত গ্রীষ্মে….
কালবৈশাখী ঝড়ের মতো এসে বললে
আর ভালবাস না আমায়।
বিদায়ী হাসি মুখে ছিল আমার
মনের কান্নাতো তুমি শুনলে না।
গত বর্ষায়….
মেঘের গায়ে নাম লিখেছি দু’জনের
বৃষ্টির কলমে,
সিক্ত হব বলে, কিন্তু হল না।
স্বপ্নটা স্মৃতির পাতা জুড়ে ছিল
তুমি বাস্তবে রূপ দিলে না।
গত শরৎতে….
সজ্জিত ধরাতলের
সবুজ শ্যামল ছায়ায়
অশ্রু লুকিয়ে ছিলাম,
ব্যথাটা চোখেই ছিল
তুমি তা দেখলে না।
গত হেমন্তে….
উৎসব আর সুরের মুর্ছনায়
মুখরিত আমায় দেখেছিলে ,
আভিমানটা বুকে লুকানো ছিল
তবু তুমি বুঝলে না।
গত শীতে,
প্রহর কেটেছে ঝরা পাতা গুণেগুণে
নীরবে নিভৃতে দীর্ঘশ্বাসে।
তোমাকে পাওয়ার আশায়,
তুমি ফিরে আসলে না।
এখন বসন্ত,
চৈতালি হাওয়াই
উরে গেছে একমুঠো সুখ,
জীবনের সাত রংগুলো
রঙ হারিয়ে হয়েছে বিমুখ।
বর্ষ গিয়েছে চলে মিছে অপেক্ষায়
জানি না কি আশায়?
পলাশ রঙে নিজেকে সাজাই
দু’টি বোবা চোখ কিছু বলতে চায়।
তবুও তুমি এসে একটু বললে না
ভালবাসো আমায়।