তিন খামারের ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বীজ আত্মসাৎ, ৮ জনের নামে মামলা

0 214

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ঝিনাইদহের দত্তনগরের তিনটি খামারে দুই কোটি আটষট্টি লাখ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগে খামারের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন।

অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) যশোরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের সাবেক উপপরিচালক মো. আমিন উল্যা, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বিএডিসি করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বিএডিসি গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিএডিসি পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক আক্তারুজ্জামান তালুকদার, বিএডিসি যশোরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আলী হোসেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগরে বিএডিসি করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক গুদাম রক্ষক রেজাউল কবির, মহেশপুর উপজেলার গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক গুদাম রক্ষক মো. লিয়াকত আলী ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক ভারপ্রাপ্ত গুদাম রক্ষক কামরুল আহসান।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিএডিসির ঝিনাইদহের দত্তনগর করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামার, মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামার ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারে ২০১৮-১৯ উৎপাদন বছরে দুই কোটি আটষট্টি লাখ একত্রিশ হাজার  সাতশত পঁচাত্তর টাকার বীজ আত্মসাৎ করেছেন। এরমধ্যে ১২৯ মেট্রিক টন হাইব্রিড ধান বীজ, চার দশমিক শূন্য ৬৯ মেট্রিক টন, ব্রি-২৮ জাতের ধান বীজ, ২১ দশমিক ৮১৮ মেট্রিক টন বারি-৩০ জাতের গম বীজ। আসামিরা বীজ স্টক বহিতে অন্তর্ভুক্ত কিংবা উত্তোলন না করে আত্মসাৎ করেন। আত্মসাৎকৃত বীজ বিএডিসি যশোরের ঝুমঝুমপুরে বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের গুদামে লুকিয়ে রাখেন।

বিষয়টি বিএডিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি বীজ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পায়। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা দায়ের করেছে দুদক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.