বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিলো ভারত

0 356

অনলাইন ডেস্ক:

এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনের পরের সকালটা বেশ বিবর্ণ বাংলাদেশের । ২০১০ ও ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসের নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশ জিতেছিল রৌপ্য। তবে এবার আর সেই রেকর্ড ধরে রাখতে পারেনি টাইগ্রেসরা। ভারতের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় এখন তাদের নামতে হবে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) হাংজুর জিজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় জ্যোতিরা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ মাত্র ৫১ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে ভারত ৮ উইকেট ও ৭০ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সেই সঙ্গে তারা টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করে।

আগামীকাল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে পরাজিত দল। যেখানে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দুপুর ১২টায় মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

গত দুই দিন হাংজুতে টানা বর্ষণ হওয়ায় ম্যাচ অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকে সেখানে রোদ হাসছে। সূর্যের এমন হাস্যোজ্জ্বল দিনে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ করতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে জ্যোতিরা। আর ২৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। শুরুর এই ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে আর দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। শেখ পর্যন্ত ১৭ ওভারে ৫১ রানেই অলআউট হয় টাইগ্রেসরা। বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি সর্বোচ্চ ১২ রান করেন। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি।

তাদের ইনিংসগুলো ছিল এমন ০, ০, ৮, ০, ৮, ০, ৩, ৯, ৩, ০। ভারতের হয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন পূজা ভাস্ত্রকার। তিতাস, আমানজোত কাউর, রাজশ্রী গায়কোয়াড ও দেবিকা বিদ্যা একটি করে উইকেট লাভ করেন।

লো স্কোরিং টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয় ভারতেরও। দলীয় ১৯ রান স্মৃতি মান্দানাকে শামিমার ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মারুফা। দ্বিতীয় উইকেটে শেফালি ও জেমিমা দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে ফাহিমার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শেফালি। এরপর প্রয়োজনীয় রান আর কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে নেন জেমিমা ও কনিকা। জেমিমা সর্বোচ্চ ২০ এবং কনিকা ১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের ফাহিমা ও মারুফা একটি করে উইকেট নিয়ে সান্ত্বনা পেয়েছেনবাংলাদেশ-ভারতের মুখোমুখি দেখায় দু’দল মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। পুরো ম্যাচে রান হয়েছে মাত্র ১০৩। এর আগে ফরম্যাটটিতে ২০১৪ সালে দুই দলের ম্যাচে সর্বনিম্ন উঠেছিল ১৩১ রান। কক্সবাজার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ভারত সেই ম্যাচ আজকের মতোই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.