গণমাধ্যমে ভিসা নীতি ও খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশে আগামীতে গণমাধ্যমের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্ত হতে পারে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তার এ বক্তব্যটি সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে উঠানো হলে বিষয়টি স্পষ্ট করেন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ম্যাথু মিলার বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে, ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। তবে গণমাধ্যমের ওপর বিধি-নিষেধের ইস্যুতে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
তিনি বলেন, কারও পক্ষ নেয়ার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করাই এই ভিসানীতির লক্ষ্য। এর আওতায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সদস্যরা থাকবেন। ভিসা রেকর্ড একটি গোপনীয় বিষয়। এ কারণে কাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে ঘোষণা করা হয়নি।
মিলারের কাছে এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল তাদের চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিতে এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। কারণ, তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা গুরুতর। তিনি বন্দী, তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তার বয়স ৭৮ বছর। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে মিলার বলেন, এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই।
দুই দিন আগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে তার এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বা ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট।
এ বিষয়ে মিলার বলেন, ভিসা-সংক্রান্ত রেকর্ড গোপনীয় হওয়ায় সুনির্দিষ্ট সদস্য বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে তারা এই বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এই নীতি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নজরদারির কথা বলে গত মে মাসে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এই ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে এ নীতির আওতায় পড়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি হোয়াইট হাউজ।