টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৭ জন নিহত
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প শালবাগানের পশ্চিমে গভীর পাহাড়ে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জকি গ্রুপের সাত সদস্য নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার গভীর রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া-মোছনির রোহিঙ্গা শিবির ২৬ নম্বর ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সকালে র্যাব-১৫ এর কক্সবাজার অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে অপর এক বন্দুকযুদ্ধে এক ইয়াবা পাচারকারী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দেড়লাখ পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু চালিগ্রাম এলাকার জাফর আলমের ছেলে নুর আলম(৩০)। সোমবার ভোরে নয়াপাড়া জাদিখালের কিনারায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নাফ নদী হয়ে ইয়াবার একটি বিশাল চালান প্রবেশ করবে। এ সংবাদে নয়াপাড়া বিওপির বিশেষ একটি টহল দল জাদিমোড়া খাল সংলগ্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মাদকের চালান নিয়ে নৌকায় করে কয়েকজন ব্যক্তি কিনারায় উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে মাদক কারবারীরা বিজিবির ওপর গুলি করে। এ সময় বিজিবির তিনজন সদস্য আহত হন। জানমাল রক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। উভয়পক্ষের মধ্যে চার থেকে পাঁচ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এতে অস্ত্রধারীরা গুলি করতে করতে কেওরা বাগানের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে দেড়লাখ পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় অস্ত্র, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত তিন বিজিবি সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
টেকনাফ-২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এই মাদকবিরোধী অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং মাদক পাচারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।