চট্টগ্রামে বিদ্রোহী সমস্যা সমাধানে আশাবাদী-ওবায়দুল কাদের

0 159

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিদ্রোহী নিয়ে তৈরি সমস্যা সমাধান হবে বলে আশাবাদী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছে পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে যান কাদের।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ রোববার বিকাল পাঁচটায়। চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট ২৯ মার্চ।

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বর্তমান মেয়র নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা গত বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু ওইদিন কোনো সমঝোতা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। দলের সমর্থন না পেয়ে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তারা এখনও ভোটে থাকতে অনড়।

ওইদিনের সভা থেকে জানা যায়, ৮ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলীয় সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর ৬ মার্চ শুক্রবার রাতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, সেই সিদ্ধান্তে বদল এসেছে। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে বৈঠক হবে রুদ্ধদ্বার।

টানেল পরিদর্শন শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সার্কিট হাউজে পৌঁছান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচনের খোঁজ খবর নেয়ার দায়িত্ব আমার আছে। এখানে অবস্থা দেখতে এসেছি। পার্টি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করে দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে সেই কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

“সেই কমিটি কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং কোনো বাধা আছে কিনা, মনোনয়নের ব্যাপারে কোনো সমস্যা আছে কিনা পরিচালনা কমিটির কাছে জানতে চাইব। চট্টগ্রামের প্রবলেম চট্টগ্রামেই যারা এখানে দায়িত্বরত আছেন তারাই সমাধান করবেন। আমাদের কেন্দ্র থেকে অবশ্যই বলার আছে যদি কোনো ব্যাপারে সমস্যা হয়, মূল্যবান কোনো সাজেশনের দরকার, সেটা আমরা দেব।”

তিনি বলেন, “ঢাকাতেও প্রচুর প্রার্থী ছিল। শেষ পর্যন্ত যতটা প্রথমে ছিল অত বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল না। ১৭২ জনের মধ্যে কমতে কমতে মাত্র ১৫ জন বিদ্রোহী ছিল যারা জয়লাভ করেছে। এখানে আমি উদ্বেগের কোনো কারণ দেখি না। যেটুকু সমস্যা আছে আশা করি সেটুকু সমাধান হয়ে যাবে।”

টানেলের নির্মাণ কাজের আগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “টানেল এখন নদীর মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে গেছে, ৫১ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি ২০২২ সালের মধ্যে টানেল পুরোপুরিভাবে আলোর মুখ দেখবে।

টানেলের নির্মাণ কাজে করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে ২৯৩ জন চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন। তার মধ্যে ৭২ জন নববর্ষের ছুটিতে চীনে গিয়েছিলেন, যাদের মধ্যে থেকে ৪৫ জন ফিরে এসেছেন। ২৮ জন কোয়ারেন্টাইন শেষে যোগ দিয়েছেন। বাকি ১৭ জন এখনও কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এতে টানেল নির্মাণ কাজের কোনো সমস্যা হয়নি। করোনাভাইরাসের প্রভাব যতটা পদ্মা সেতুতে হতে পারে ততটা টানেলে প্রভাব পড়বে না।”

চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মেট্রো রেলের ফিজিবিলিটি স্টাডিজের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অলরেডি বলেছি, অগ্রগতি আছে। আমরা ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। ফিজিবিলিটি স্টাডিজের কাজ শুরু হবে।”

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদসহ দলের নেতারা এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.