চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন যেন লক ডাউন
করোনা ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গন রয়েছে বন্ধ।
আর সে পথ ধরে হাটতে ভুল করেনি চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনও। বলতে গেলে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন এক রকম লক ডাউন হয়ে আছে।
গত ১৭ মার্চ থেকে বলতে গেলে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন একেবারে বন্ধ রয়েছে। সবশেষ গত ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগের খেলা। এরপর থেকে সবকিছু বন্ধু। চট্টগ্রামের খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এখন সুনসান নিরবতা। এখন এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সে মুখরতা আর নেই। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের অনুশীলন মাঠে শত শত কিশোর, তরুন ক্রিকেট অনুশীলন করতো। আর সেটাই ছিল নিত্য দিনের চিত্র। কিন্তু এখন সে অনুশীলন মাঠ করছে খাঁ খাঁ। কারো আনাগোনা নেই এই মাঠে। বলতে গেলে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম যেন এখন অচেনা কোন জগত।
এদিকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ করা হলেও সত্যিকার অর্থে কবে নাগাদ এই খেলাধুলা শুরু হবে সেটা বলতে পারছেনা কেউই। কতদিন দীর্ঘ হয় এই ণিষেধাজ্ঞা সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। কারণ করোনার পরিস্থিতি পুরোপুরি সেরে না উঠা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেটা বলাই যায়। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফুটবল লিগ ছাড়াও বিভিন্ন ইভেন্টের অনুশীলন চলতো অনুশীলন মাঠে কিংবা জিমনেসিয়ামে।
সে সব এখন বন্ধ রয়েছে। এখন স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্টদের আগাগোনাও এক রকম বন্ধ হয়ে গেছে। হাতে গোনা কয়েকজন এসে ঘুরে যান স্টেডিয়াম এলাকায়। স্টেডিয়ামে যারা কর্মরত আছেন তারাই কেবল আসছেন স্টেডিয়াম এলাকায়। নেই কোন কোলাহল। দু একজন কর্মকর্তা এসে একটু ঢু মেরে যান। কয়দিন আগেও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ের সামনের নেটে ক্রিকেটাররা অনুশীলনে মুখরিত করে রাখতো। এখন সে নেটে তালা দেওয়া। তাছাড়া তায়কোয়ান্ডো কিংবা কারাতে অনুশীলন যারা করতো তারাও নেই এখন আর। স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক রয়েছে বন্ধ। স্টেডিয়াম মসজিদে কমে গেছে মুসল্লির সংখ্যা।
সবার মধ্যে কাজ করছে অজানা এক ভয়। এরই মধ্যে স্টেডিয়াম এলাকার একাধিক দোকান বন্ধ করে দিয়েছে দোকান মালিকরা। বিশেষ করে খাবারের দোকানে লোক সমাগম নেই বললেই চলে। আর ক্রীড়া সামগ্রির দোকান গুলো খোলা থাকলেও সে সবে নেই কোন ক্রেতা। গতকাল স্টেডিয়াম এলাকার একাধিক দোকানদার জানালেন তাদের বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। দু একজন যারা আসছেন তারা মূলত ব্যায়ামের জিনিস পত্র ক্রয় করছেন।
স্টেডিয়াম এলাকায় সবচাইতে মুখর থাকতো সুইমিংপুল। কিন্তু সে সুইমিং পুলের প্রধান ফটকে এখন তালা মারা। যদিও প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সাঁতারের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা হলেও কবে নাগাদ আবার সুইমিংপুল সরব হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সব মিলিয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকা এখন একেবারে স্থবির। কবে নাগাদ আবার এই স্টেডিয়াম এলাকা মুখর হবে সেটা বলতে পারছেনা কেউই। তবে সবার কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা দ্রুতই এই বপর্যয় কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে।