মিটারে টাকা ফুরিয়ে গেলেও গ্রাহকরা পাবেন গ্যাস-বিদ্যুৎ
নগরবাসী যারা গ্যাস-বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করছেন মিটারে টাকা ফুরিয়ে গেলেও গ্যাস-বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবেন কারণ গ্যাসের প্রি-পেইড মিটারের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে টাকা না থাকলেও ফোনে যোগাযোগ করলেই মিটারের ব্লক খুলে দেবে কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের কারণে গৃহবন্দী লাখ লাখ মানুষ।
জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া নগরীর সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এতে কোনো গ্রাহক যদি মিটার রিচার্জ করতে না পারেন তাহলে তারা গ্যাসের এক হাজার টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘গ্রাহকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা এক হাজার টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।’
পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামছুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুতের বিল দেওয়া সহজ। অনলাইনে এ বিল দেওয়া যায়। এ জন্য প্রি-পেইড মিটারে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স রাখার ব্যবস্থা না রাখলেও, গ্রাহকরা রিচার্জ করতে অসুবিধা হলে কল করে যোগাযোগ করলেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন।’
এদিকে মাসিক গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল দিতে ব্যাংকে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে-এই চার মাসের গ্যাসের বিল আগামী জুনে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল মে মাসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য কোনো বিলম্ব মাশুল বা সারচার্জ দিতে হবে না গ্রাহককে।