চিকিৎসা শেষে বাড়ীর পথে ইউএনও ওয়াহিদা
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবা ওমর আলী শেখ একমাস চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, অপারেশন শতভাগ সফল হওয়ায় ওয়াহিদা খানম মাসখানেকের মধ্যেই কাজে ফিরতে পারবেন। তবে সে পর্যায়ে ফিরতে তাকে সপ্তাহ দুয়েক ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে এর চেয়েও জটিল অপারেশন হয় জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে দেশের রোগীদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুর পৌনে একটার দিকে হুইল চেয়ারে করে নিচে নেমে আসেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম। এরপর হেঁটে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপির জন্য তাকে মিরপুরের সিআরপিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
তার চিকিৎসক জানান কিভাবে অচেতন অবস্থায় স্ট্রেচারে করে আসা ওয়াহিদা খানমকে প্রায় সুস্থ করে তুলেছেন তারা।
ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার শতভাগ সফল হয়েছে। তার শারীরিক পরিস্থিতি এখন ভালো। শক্তি ফিরে এসেছে। সামান্য বাকি আছে। সেজন্য সিআরপিতে রেফার করেছি।
একই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখও মেয়ের সঙ্গে হাসপাতাল ছাড়েন। মাসখানেকের মধ্যে ওয়াহিদা খানম আবারও কাজে যোগ দিতে পারবে বলেও আশাবাদী চিকিৎসকরা।
ওয়াহিদা খানমের চেয়েও জটিল অপারেশন এই হাসপাতলে হয় জানিয়ে চিকিৎসকরা ভালো সেবা পেতে সবার সহযোগিতা চাইলেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরদিন বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।