বড় ধরনের ২য় ধাক্কা দিতে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস, মাস্ক না পরায় জরিমানা

0 202

স্টাফ রিপোর্টার মো: রুবেল: বিশ্বকে আবারো বড় ধরনের ধাক্কা দিতে যাচ্ছে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস। প্রতিনিয়তই বাড়ছে সংক্রমন, তবুও যেনো সচেতনতা মানুষের দরজায় এসে পৌছাতে পারছেনা। জনস্বার্থে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিভাবে দেশের মানুষকে করোনা থেকে মুক্ত রাখা যায়, বিভিন্ন গণসচেতন মূলক প্রচার-প্রচারনার মাধ্যমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঘরে পৌছানোর আগেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। সরকারী নির্দেশ মোতাবেক চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৮০ জনকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক, রেজওয়ানা আফরিন ও নূরজাহান আক্তারের নেতৃত্বে এ ভ্রামম্যাণ আদালত পরিচালিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক নগরীর নিউমার্কেট ও কোতোয়ালি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাস্ক পরিধান না করায় ৫৩ জনকে ৯ হাজার ৩৩০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। একই অভিযানে নূরজাহান আক্তার সাথী দামপাড়া এলাকায় সাতজনকে ৪৭০ টাকা অর্থদণ্ড করেন।

রেজওয়ানা আফরিন বলেন, জামাল খান ও জিইসি মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০ জনকে এক হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ডসহ আটকাদেশ দিয়েছি। এছাড়া ২০০ সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ-কে সামনে রেখে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। কিন্তু অনেকেই অবহেলা করে মাস্ক পরিধান না করে জনবহুল এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে, যা স্বাস্থ্যবিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ফলে নিজেকে ও অন্যদেরকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলছে তারা। অভিযানে দেখা যায়, বিভিন্ন পেশার মানুষ দোকানদার, চাকরিজীবী, ড্রাইভার, যাত্রী, পথচারী এমনকি শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ মাস্ক পরিধানে অবহেলা, অবজ্ঞা করছে।

দেশী টুয়েন্টিফোর সরেজমিনে দেখতে পায়, অনেকেই অবহেলা করে মাস্ক পরেন না। ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে মাস্ক পকেট থেকে দ্রুত মুখে লাগান। এমনকি কয়েকজনকে দেখা যায়, শার্ট-গামছা-হাত দিয়ে মুখ ঢাকছেন অথবা তারা পালিয়ে গলিতে, দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ছেন। তবে আগে থেকে মানুষের মাঝে এখন সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দিন দিন মাস্ক পরিধানে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সচেতন মহল থেকে শাস্তি আরও জোরদার করার দাবি জানাচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, মাস্ক পরার জন্য প্রথম থেকেই আমরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার-প্রচারণাসহ মাইকিং, লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করে আসছি। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনেকেই অবহেলা করে মাস্ক পরছেন না। যার ফলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের অর্থদণ্ডও দেয়া হচ্ছে। মাস্ক পরতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.