স্থানীয় সংবাদ: নিজস্ব প্রতিবেদন- শীতের সময় সবজির চাহিদা জনজীবনে বৃদ্ধি পায়, নানা ধরনের সবজির ফলন শীত কালেই উৎপাদন হয়। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব জনজীবনে যেমন প্রভাব ফেলেছে তেমনি নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য যেনো সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। কোনো ভাবেই কমছে না চট্টগ্রামে সবিজর দাম। শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এখনো আলু, কাচা মরিচ ও টমেটোর বাজার অপরিবর্তিত। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা, সবজি কিনতে এসে এক মাঈনুদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, এই প্রথমবার সবজির দাম মাংসের দামের চেয়ে বেশি দেখতে পাচ্ছি, সবজির দামে মুরগী কিনতে পাওয়া যায়, খেটে খাওয়া মানুষেরা এখন অনেকেই সবজি কিনতে চায় না, একটা মুরগী দিয়ে কোনো রকমে দিন চালিয়ে দেয়, অনেক ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনের নজরদাড়ি না থাকার কারণে কমছে না সবজির দাম।
ঝাউতলা কাচা বাজার, ব্যবসায়ী, মো: আজম বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। সরবরাহ বাড়লে কমতে পারে দাম। একই কথা জানালেন চট্টগ্রাম পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী মো: রশিদ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম তাই দাম বৃদ্ধি। আমরাও চাই ক্রেতাদেরকে সন্তুষ্টি করতে, আড়ৎদারদের কাছ থেকে আমরা যদি কম দামে কিনতে পারি তবেই আমরা কম দামে কাস্টমারদেকে দিতে পারবো। দাম বাড়ার কারনে আমাদের ব্যবসায় অনেক প্রভাব পড়েছে।
চট্টগ্রামের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে বৃদ্ধি রয়েছে সব রকম নিত্যপণ্যের দাম। যদিও শীতের আগে, শীতের সবজি মিললো বাজারে। কিন্তু দাম ক্রেতাদের সামর্থ্যের বাহিরে। এখনো ফুল কপি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০টাকা থেকে ১০০টাকা, বাধা কপি ৭০ থেকে ৮০টাকা, বেগুন ১১০ থেকে ১২০টাকা, কাঁচা মরিচ-১২০টাকা, টমেটো ১২০টাকা, কাকরোল ১২০টাকা দরে। চট্টগ্রামের, ঝাউতলা বাজার, পাহাড়তলী বাজারে দেখা মিলছে এমন চিত্র। প্রশাসনের নজরদাড়ি নাথাকায় বাজারে সবজির দম কমানো হচ্ছেনা বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
ব্যাবসায়ীরা আক্ষেপ নিয়ে বলেন, দাম বেশি থাকার কারণে ক্রেতা কমে গেছে বাজারে। কিন্তু কিছু করার নেই। সবজির সরবরাহ নেই। পাইকারি বাজার থেকে দাম দিয়ে সবজি কিনে কম দামে বিক্রি করা অসম্ভব। তবে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি বাড়ানো গেলে চট্টগ্রামের সবজি ও নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।