চট্টগ্রাম সংবাদঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন কর্পোরেশনের মালিকানাধীন নগরীর ফতেয়াবাদের ঠান্ডাছড়ি রিসোটে পর্যটনশিল্প ও ইকো ট্যুরিজমে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নাগরিক জীবনের কোলাহলমুক্ত ছায়া সুনিবিড় পাহাড়ের খাঝে খাঝে লেকের স্বচ্ছ পানি, অসংখ্য বনজ,ফলজ ঔষধী গাছের সমাহার কর্পোরেশনের এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টে। ৪০ একর জায়গা এই অনিন্দসুন্দর রিসোর্টকে গড়ে তোলাসম্ভব পাখির অভয়ারাণ্য।
শীতে যেমন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখির কলকাকলিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নান্দনিক সৌন্দর্য্যে মুখরিত হয়, তেমনি এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টকেও নগরীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যোগ, পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন। এই রিসোর্টে বিনিয়োগে বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহী হলে এখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, পানি ওয়াইফাই জোনসহ আনুসাঙ্গিক সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাদের সহযোগীতা করবে। তিনি আজ সকালে নগরীর ১নং ফতেয়াবাদ ওয়ার্ডস্থ ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট পরিদর্শনে যান। রিসোর্টে আমন্ত্রণ জানানো হয় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সেবাসংস্থার প্রধানদের। প্রতিদিনের অফিসের দাপ্তরিক কাজ ও দায়িত্বের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একটু অবকাশ যাপনে প্রশাসকের এই আয়োজনে উপস্থিত কর্পোরেশনসহ সরকারি সকল সেবাসংস্থার প্রধানগণ বেশ আনন্দিত ও মুগ্ধ হন। শীতের আগমনীর শুরুতে সুন্দর এই অনুষ্ঠানে ছিলো চিতই, পাঠি সাপটা,ভাপা পিঠা,পপ কর্ন ও গরম কফির পানের আয়োজন। ছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা। এছাড়াও ছিল হরেক রকম মুখরোচক খাবারের সমন্বয়ে দুপুরের ভোজের আয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম,স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হক, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাতুম, ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরী, সমাজসেবক ও রাজনীতিক জাফর আলম, শফিউল আলম ও হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীরসহ চসিকের উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, কর্পোরেশনের এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টে হলো শহরের যান্ত্রিক জীবমুক্ত একখ- প্রাণের ছোঁয়া। আমার ইচ্ছা ছিল চসিকের ও সকল সেবাসংস্থার প্রধানদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের। কিন্তু সময় স্বল্পতা দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ সম্ভব হয়ে উঠলোনা। তাই তড়িৎ সিদ্ধান্তে এই আয়োজন। আয়োজনে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে প্রশাসক আরো বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এই মাস একদিকে যেমন আনন্দের, অন্যদিকে রয়েছে স্বজন ও প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা। এই বিজয়ের মাসে বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী দিনের সুন্দর স্বনির্ভর আধুনিক ও ক্ষুধামুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।