কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা সাম্মাম ফল
বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিদেশি ফল সাম্মাম ও রকমেলন চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক চাষি। চাষিরা জানান, বিদেশি ফলের মধ্যে তারা দুই জাতের ফল চাষ করেছে, থাইল্যান্ডের সাম্মাম ফল ও ভারতের রকমেলন ফল, এ ধরনের ফসলের জীবনকাল ৭৫ দিন, প্রতি একরে সম্মামের ফলন হয় প্রায় আড়াই থেকে তিন টন। এই ফলগুলো পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় কুড়িগ্রামে এলাকায় ও সারাদেশে চাহিদা বাড়ছে।
উর্বর জমিতে সাম্মাম ফল ও রকমেলন ফল চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। একজন উদ্যোগক্তা বলেন, আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা, দুই একর জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় পাঁচ টন। বাজারে এক কেজি ফলের দাম ১শ আশি টাকা থেকে ২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যায়। দুই একর জমির সাম্মাম ও রকমেলন ফল বিক্রয় করে আমার লাভ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। এতে আমি অন্য ফলনের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান । আর গ্রামের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
কুড়িগ্রামের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সাম্মাম ও রকমেলন একই প্রজাতির কিন্তু জাত ভিন্ন, এই ফল থাইল্যান্ড ও ভারতে মরু এলাকায় চাষাবাদ হয়। আমার এরিয়ায় দুই একর জমিতে এ ফল চাষাবাদ হয়েছে। কুড়িগ্রাম ও রৌমারী অঞ্চলসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে এই ধরনের ফল চাষাবাদের উপযোগী, আমরা কৃষকদের সাম্মাম ও রকমেলনের পাশাপাশি তরমুজ চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি ফল হওয়ায় এলাকায় পরিচিতি পেতে একটু সময় লাগবে। তবে এই ফল চাষাবাদ করে অল্প সময়ে কৃষক বেশি লাভবান হতে পারবে। আর দিন দিন বাড়বে এই ফলের চাহিদা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, এই ধরনের ফলের চাষ বিদেশে মরুভূমির অঞ্চলে বেশি করা হয়। সাম্মাম ও রকমেলন ফল এই প্রথম দেশে চাষ করা হয়েছে। সাম্মাম পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের ফল। এরমধ্যে এই ফল এলাকায় জনপ্রিয় হয়েছে। সাম্মাম ফলের বাইরের অংশ হলুদ, ভেতরের অংশ লাল, রকমেলন ফলের বাইরের অংশ সবুজ ভেতরের অংশ লাল। ভিন্ন প্রজাতির এই ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষি পেশায় জড়িত মানুষের।