স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালিত হবে মাতৃভাষা দিবস
করোনা পরিস্থিতে প্রতিবছরের মতো যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে একুশে ফেব্রুয়ারি। সরকারের নানান কর্মসূচি ও নির্দেশনার মাধ্যমে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালিত হবে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এক বিবৃতিতে জানান, এবারের শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উপলক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেক সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শহীদ মিনারের সব প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে। মাস্ক পরা ব্যতিরেকে কাউকে শহিদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদ মিনারে আসতে ও চলাচল করতে থাকবে প্রশাসনিক নজরদারি।
যথারিতি দেশের সকল গণমাধ্যমে একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং জনসচেতনতামূলক বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সাথে সংবাদপত্রেও ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে। যাতে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের কথা দেশের জনগণ সবিস্তার জানতে পারে।
এছাড়াও শহীদ মিনার এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে “চিকিৎসা ক্যাম্প” স্থাপন করা হবে। এর সাথে পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে এবং করোনা মোকাবিলায় জীবাণুমুক্তকরণ কার্যক্রম এবং ‘ফার্স্ট এইড বুথ’ স্থাপন করবে। উল্লেখ্য যে, যথাযথ সম্মানে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।