পরমাণু চুক্তিতে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে: জো বাইডেন
ইরানের উপর থেকে আপাতত নিষেধাজ্ঞা তুলছে না অ্যামেরিকা। গত রোববার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে একই সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় তিনি আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন জো বাইডেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশ এবং ইরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি সই হয়েছিল। সেখানে পরমাণু ভারসাম্য রক্ষায় স্পষ্ট কিছু নীতি নির্ধারণ হয়েছিল। ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করতে না পারে, সে দিকেও নজর রাখা হয়েছিল ওই চুক্তিতে। কিন্তু ২০১৫ সালে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে অ্যামেরিকাকে সরিয়ে নেয়। ইরানও তার জেরে চুক্তি ভঙ্গ করতে শুরু করে। ট্রাম্প ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপর থেকে অ্যামেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধু পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাতে পারবে না৷ তবে আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালু রাখার অধিকার সে দেশের রয়েছে৷ অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসার মতো ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে৷
ইরান সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নতুন করে তারা পরমাণু পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ইরানের পার্লামেন্টে গত জানুয়ারিতে একটি বিল পাশ হয়েছে। যাতে স্থির হয়েছে, ইরান ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম মজুত করবে। আগে যে পরিমাণ ছিল চার শতাংশের কাছাকাছি।
প্রথম থেকেই ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, ইরানকে প্রথমে চুক্তিকে মান্যতা দিতে হবে। তারপরেই নতুন করে আলোচনা সম্ভব। অন্য দিকে, ইরানের বক্তব্য, অ্যামেরিকাকে প্রথমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। তারপরেই আলোচনা সম্ভব। ইরানের সুপ্রিম লিডারও দেশের একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন।