সীমান্তে জ্বালানী ট্যাংকারে বিস্ফোরণ,ক্ষতিগ্রস্ত ইরান-আফগানিস্তান
আফগানিস্তান এবং ইরান সীমান্তের একটি কাস্টমস পোস্টে জ্বালানিবাহী শত শত গাড়ি বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছে। এতে আফগানিস্তানের অন্যতম বড় প্রদেশ হেরাতের ৬০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ইরানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থা আইএসএনএকে দেশটির আঞ্চলিক বাণিজ্য কর্মকর্তা হুসেইন আখুন্দজাদেহ জানিয়েছেন, গ্যাস, ডিজেল ও অকটেনবাহী ৩০০টিরও বেশি ট্যাংকার বিস্ফোরিত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল ইঞ্জিন এবং অ্যাম্বুলেন্স। স্থানীয় লোকজনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসে। সীমান্তবর্তী শহর ইসলাম কালায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরের গভর্নর ওয়াহেদ কাতালি বলেন, বিস্ফোরণের ফলে ইসলাম কাল্লা স্থলবন্দরে পার্ক করে রাখা অসংখ্য জ্বালানী ভর্তি ট্যাংকারে আগুন লেগে যায়। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইরান এবং আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো কর্মীদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
হেরাত চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ইউনুস কাজিজাদা রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে আগুনে এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হেরাতের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিক শিরাজ জানিয়েছেন, আহত ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং উদ্ধারকর্মীরা শত শত জ্বালানী এবং গ্যাস ট্যাঙ্কার ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়েছে। টেলিভিশনের ফুটেজে ঘটনাস্থলের চারদিক থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
ইরানের সীমান্ত অঞ্চলের জরুরি বিষয়ক কর্মকর্তা মোহসেন নেজাত রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভশনকে জানিয়েছেন, ইরান ঘটনাস্থলে ২০টি দমকল ট্রাক এবং ২১টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিল।
বার্তা সংস্থা এপি অন্তত ৫০০ জ্বালানীভর্তি তেল ও গ্যাস ট্যাংকারে আগুন লেগে যাওয়ার খবর জানিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে হেরাত শহরের বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।