ইলেকট্রনিক উপায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়া হবে-প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জন্য গৌরবের । লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আসে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত সেই জাতি গঠনে আত্ননিয়োগ করেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধতের সম্মান রক্ষায় আত্ননিয়গ করেন।
সোমবার গণভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি মোবাইলে ব্যাংকিংএর মাধ্যমে ভাতা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা দেন বীরশ্রেষ্ট ছাড়া সব মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আগামীতে ২০ হাজার করে দেয়া হবে।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজ আমরা বিশ্বে বিজয়ী জাতি হিসেবে সম্মান অর্জন করেছি। দেশে যারা বিত্তশালী আছেন আপনারা নিজ নিজ এলাকার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াবেন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে বলেই আপনারা অর্থে-বিত্তে বড়ো হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অনেকের ঘরবাড়ি নেই। তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। যাদের ত্যাগে দেশ পেলাম, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরবাড়ি থাকবে না, আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা হতে পারে না। ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয়ার উদ্যোগ নিই। তাদের সম্মানী ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। তাদের সুন্দর জীবনযাপনের ব্যবস্থা করেছি। সন্তানদের চাকরি নিশ্চিত করেছি। এখন মুক্তিযোদ্ধারা যাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজে ভাতা পান সে ব্যবস্থাও নিয়েছি।