না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রূপালি পর্দার অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রূপালি পর্দার বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে শুক্রবার বিকেলে এটিএম শামসুজ্জামানকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)।
বরেণ্য এই অভিনেতা কৌতুক, পার্শ্ব-অভিনেতা, খল কিংবা প্রধান চরিত্র সবখানেই দিয়েছেন দক্ষতার পরিচয়। জন্শেছিলেন ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ১৯৬৫ সালে পা রাখেন রূপালি পর্দায়।
১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে সিনেমায় অভিষেক ঘটে তার। অসংখ্য খণ্ড নাটক এবং ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮৭ সালে ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রের জন্য অর্জন করেন প্রথম শেষ্ঠ অভিনেতার তকমা। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ২০১৫ সালের একুশে পদক। অভিনয়ের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অর্জন করেছেন নানা সম্মাননা।
বার্ধক্যজনিত কারনে ভর্তি করানো হয় রাজধানীর একটি হাসপাতালে। এর পর বাসায় ফিরে চিরবিদায় নিলেন বাংলা চলচ্চিত্রে আসা বরেণ্য এই অভিনেতা ।