রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ওআইসি
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ইতিমধ্যে লাখখানেক রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৪ ডিসেম্বর। বর্তমানে সেখানে পৌঁছেছে প্রায় ১০ হাজার।
মিয়ানমারের থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। এ সময় ওআইসির প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের গভীর প্রশংসা করে। ভাসানচরের বিষয়ে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগেরও প্রশংসা করে তারা।
আজ (সোমবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান সংস্থাটির রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব ইউসেফ আলডোবেয়া।
আবদুল মোমেন বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ওআইসির প্রতিনিধি দলকে তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা জানিয়ে বলেন, তিনি দেশটিকে রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সফররত ওআইসির সহকারী মহাসচিব জানান, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে একমত হয়েছেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব স্থায়ীভাবে এই মানবিক সংকট নিরসনে ওআইসিকে অব্যাহত সহায়তার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ বজায় রাখার আহ্বান জানান। রোহিঙ্গাদের জন্য ওআইসি মানবিক ফান্ড তৈরি করায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান অর্থাৎ নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং তাদের স্বদেশে স্থায়ী প্রত্যাবাসনকে এ সমস্যার কার্যকর সমাধান বলে পুনর্ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মুসলিম দেশগুলোর এ জোট। এছাড়াও বাংলাদেশকে যে কোন প্রয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দেন ওআইসি প্রতিনিধি দল।