নতুন ঘরের আনন্দে হাসবে আরো ১ লাখ পরিবার

0 182

আনন্দে হাসবে দেশের মানুষ। হাসি ফুটবে আরো ১ লাখ পরিবারের মুখে। দেশে নতুনভাবে ঘর পেতে যাচ্ছে আরও এক লাখ পরিবার। ‘কেউ গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা অনুযায়ী দেওয়া হবে নতুন ঘর। প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর। প্রতিটি ঘরেই রয়েছে সোলার সিস্টেম ও বজ্রপাত নিরোধ ব্যবস্থা।

সারাদেশে ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮২ হাজার ৩৩ পরিবারকে ঘর-জমি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় গত ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার ১৮৯ ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীনদের এসব ঘর দেওয়া হয়।

কারও এক বা দুই শতাংশ জায়গা রয়েছে, কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা খুব ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের এ ঘর দেওয়া হবে। এছাড়া যে পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা পুরুষ সদস্য আছে, কিন্তু তার বয়স ৬৫ বছরের বেশি, নদী ভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তারাও এ ঘর পাবেন। এছাড়া বেদে ও তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের এ ঘর দেওয়া হবে। নির্দেশনা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করবেন।

আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক বলেন, মুজিববর্ষে আমরা আরও এক লাখ ঘর দেব। আগামী এপ্রিলের মধ্যেই ৫০ হাজার ঘর দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা একটু পিছিয়ে গেছে। কারণ কিছু নিচু জায়গা আছে, সেগুলোতে মাটি ভরাট করা লাগবে। এজন্য একটু বেশি সময় লাগবে। বাকি ৫০ হাজার ঘর ডিসিদের (জেলা প্রশাসক) কাছ থেকে চাহিদা পাওয়ার পর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেয়া এক চঠিতে বলেন, যাচাই-বাছাই করে গৃহহীনদের তালিকা করতে হবে। ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা যোগ্য নন, তারা যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন। নির্মাণকাজ চলাকালে বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণ অনুপাত সঠিকভাবে হতে হবে। জমির মালিকানা রয়েছে এমন কেউ চলমান গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় আসবে না। সংশোধিত নকশা অবশ্যই মানতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সব সদস্যকে নির্মাণকাজ তদারকিতে থাকতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই উপকারভোগীর কাছ থেকে কোনো ধরনের খরচের টাকা নেওয়া যাবে না। এমনকি পরিবহন বাবদ যদি কোনো টাকা খরচ হয়, সেই টাকাও নেওয়া যাবে না। ঘর নির্মাণের সময় গুণগত মান নিশ্চিত করতে কোনো আপস করা যাবে না। কাঠ, টিন, ইট, বালু ও সিমেন্টের গুণগত মান নিশ্চিত করে ঘর নির্মাণে ব্যবহার করতে হবে।

নতুন ঘরের আনন্দে হাসবে হাসবে আরো ১ লাখ পরিবার। সরকার মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে মুজিববর্ষেই এ কর্মসূচির আওতায় আরও এক লাখ পরিবার পাবে রঙিন ঘর।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.