এবার হালদা নদীতে সিসি ক্যামেরা

0 170

দেশের ঐতিহ্য আর প্রকৃতির অপরুপ সাক্ষী হয়ে আছে হালদা নদী। মিঠাপানির মাছের প্রজননক্ষেত্রের জন্য চট্টগ্রামের হালদা নদী বিশ্বে অনন্য। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র এ নদী।

এই নদীতে অসময়ে মাছ ধরা, অবৈধ জাল ফেলা থেকে শুরু করে চলছে বালু তোলার উৎসব। নানানভাবে নদী রক্ষা কমিটি ও নৌ পুলিশি অভিযানে বন্ধ করা হলেও থামছে না দুষ্ট চক্রের দল।

তবে এবার হালদা মনিটরিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নদীর নিরাপত্তায় মদুনাঘাট থেকে আমোতয়া এলাকা পর্যন্ত মোট ৮টি পয়েন্টে আটটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে। এর পাশাপাশি মনিটরিং করা যাবে নৌ পুলিশের ঢাকার ডিআইজি কার্যালয় থেকে।

প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে হালদায় রুই, কাতলা, মৃগেলের মতো কার্পজাতীয় মাছ ডিম দিয়ে থাকে। সামনেই এসব মাছের ডিম দেওয়ার সময়। কিন্তু জেলে ও অসাধু ব্যবসায়ীরা নানান জায়গায় জাল ফেলার কারণে মাছের ডিম দেওয়ার সময়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এতে মাছের প্রজনন ও মাছ নিরাপদে থাকতে পারে না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ পুলিশেরে ওসি এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, হালদা নদী এশিয়ার একমাত্র নদী যাতে মিঠা পানির মাছ প্রজনন কেন্দ্র। এটা আম্দের জন্য গৌরবের। হালদা রক্ষার জন্য অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে আটজন সদস্যের একটি নিয়মিত কাজ করছে। নদীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যেসব স্থানে মা মাছ ডিম ছাড়ে সেসব স্থানকেই টার্গেট করেই ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এই নদীতে অবৈধ জাল ফেলে মা মাছ ধরা, ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এবং ডলফিনের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য এসব সিসি ক্যামেরা ব্যবহৃত হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য যে, গত এক সপ্তাহে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় ১০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি নিষিদ্ধ ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। প্রজনন মৌসুমকে সামনে রেখে পরিচালনা করা এই অভিযানে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ, বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত ৩টি নৌকা ধ্বংস করা হয়। ১টি নৌকার মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.