কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়ক হবে-মেয়র
চট্টগ্রাম বন্দর যে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম নগরীর চেহারা। অন্যদিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ সম্পন্ন হলে একাধিক উপশহর গড়ে উঠবে। এখন দরকার সব সেবা সংস্থার উন্নয়ন কাজের প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরী হিসেবে দেশ- বিদেশে খ্যাত। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে নগরীর উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এখন থেকে কাজ শুরু করতে না পারলে এর সুফল দৃশ্যমান হবে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যাবতীয় ব্যয় শুধুমাত্র গৃহ করের আয়ের উপর নির্ভর। এক্ষেত্রে আয়বর্ধক তেমন কোন প্রকল্প সিটি কর্পোরেশনের নেই, কিন্তু কাজের ব্যাপ্তি অনেক বড়। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি বিধি-বিধান মেনে চসিককে আর্থিকভাবে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রাপ্য হোল্ডিং ট্যাক্স হালনাগাদ করা সাপেক্ষে উভয় পক্ষ যৌথভাবে ন্যায্যতার নিরিখে পুন:মূল্যায়ন এবং পর্যালোচনা করতে পারলে এক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণ হবে বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস করেন। আজ সোমবার অপরাহ্নে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহানের নেতৃত্বে বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল বাটালিহিলস্থ মেয়র দপ্তরে সাক্ষাত করতে এলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গক্রমে মেয়র আরো বলেন, নগরীর খাল-নালা গুলো সকল অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছে তাদের কাছ থেকে উদ্ধারের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি কর্ণফুলির নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং এর উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কর্ণফুলীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে বন্দরকে ঘিরে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তার কোন সুফল পাওয়া যাবে না, তদুপরি নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যাও নিরসণ হবে না।
তিনি আরও বলেন, পলিথিন বন্ধ করার ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সকল মহলের সোচ্চার হওয়া আজ সময়ের দাবি। চসিক মেয়রের বক্তব্যের আলোকে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে আমরা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে যাব। তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাইলে সে ব্যাপারে চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
তিনি বলেন,লালদিয়ার চর এলাকায় বেদখলকৃত ভূমি উদ্ধার করতে গিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহলের যে সহযোগিতা পেয়েছি তা অভিনন্দনযোগ্য। তিনি বন্দর এলাকার ফ্লাইওভারগুলোর সাথে বন্দর থেকে যানবহানের উঠানামায় র্যাম্প লিংক করে দিতে পারলে বন্দর এলাকায় বিদ্যমান যানজট নিরসণ সম্ভব হবে বলে জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মুহাম্মদ ওমর ফারুক, ডেপুটি ম্যানাজার স্টেট মিজানুর রহমান, সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা এম শামসুল হুদা প্রমুখ।