বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে ১০ দিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা

0 435

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন আজ ১৭ মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে, টুঙ্গিপাড়ায় ও দেশের সর্বত্র নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেওয়া হয়েছে বর্ণালি প্রস্তুতি।

১০ দিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় যা থাকছে-

১৭ই মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান থাকবে দুই ভাগে, প্রথম পর্বে বিকাল তিনটায় আলোচনা অনুষ্ঠান; যাতে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশি বিদেশি বিশিষ্টজনেরা। পরে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিনই থাকবে নানা অনুষ্ঠান। আজ ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে বর্ণাঢ্য এই আয়োজন। সকাল থেকে থাকছে ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ ও ২৬ মার্চ তারিখের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এ পাঁচদিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

১৭ মার্চ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১৮ মার্চ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০ মার্চ ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২ মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৩ মার্চ ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকাভা, ২৪ মার্চ পোপ ফ্রান্সিস এবং ২৫ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন।

১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ তারিখের অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের অনুষ্ঠান বিকেল সোয়া ৫টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে।জাতির পিতার জীবনী আর বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে ১০ দিনের এই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.