প্রতি কেজি হলুদ চা বিক্রি হলো ১২ হাজার ২০০ টাকায়
নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্রে কেজি প্রতি ইয়েলো টি বিক্রি হলো ১২ হাজার ২০০ টাকায়। নিলামে দুই কেজি ইয়েলো টি ক্রয় করে ‘পপুলার টি হাউজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
চলতি মৌসুমের ২০তম ও শেষ নিলাম সম্পন্ন হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। প্রথমবারের মতো দুই কেজি হলুদ চা উত্তোলন ও বিক্রি হয়। প্রতি কেজি চা ১২ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। এ নিলামে বিক্রির জন্য ১০ হাজার কেজি চা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে সব চা বিক্রি হয়েছে। বিক্রীত চায়ের বাজার প্রায় ২০ লাখ টাকা।
টি প্লান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (টিপিটিএবির) ব্যবস্থাপনায় ১৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত নিলামে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক বায়ার ও তিনটি ব্রোকার হাউজ অংশ নেয়।
নিলামে প্রতি কেজি চায়ের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১২ হাজার ২০০ টাকা, সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা ও গড় দাম ২২১ টাকা। নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া হবিগঞ্জের বৃন্দাবনপুর চা বাগানের উৎপাদিত দুই কেজি হলুদ চা প্রস্তাব করে শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্স হাউজ। কিনে নেয় পপুলার টি হাউজ।
এর আগে শ্রীমঙ্গলের ১৭তম নিলামে বৃন্দাবনপুর চা বাগান প্রথমবারের মতো হোয়াইট টি (সাদা চা) প্রস্তাব করে। প্রতি কেজি সাদা চা তখন ৫ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। তারা কালো চায়ের পাশাপাশি সাদা ও হলুদ রঙের দামি চা উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টিপিটিএবির জানায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা বেড়েছে চায়ের। দুই সপ্তাহ আগে শ্রীমঙ্গলে ১৯তম নিলামে প্রতি কেজি চায়ের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৮০ টাকা, সর্বনিম্ন ১৪৫ টাকা এবং গড় দাম ছিল ১৬২ টাকা। সে হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম বেড়েছে ৫৯ টাকা।
করোনার কারণে কিছুটা দেরিতে গত বছরের ৩ জুন শ্রীমঙ্গলে মৌসুমের প্রথম চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। সে নিলামে ১৮ হাজার ৭০০ কেজি চা বিক্রি হয়। প্রতি কেজি চায়ের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৩০ টাকা, সর্বনিম্ন ২০০ টাকা ও গড় দাম ২২০ টাকা।
টিপিটিএবির পরিচালক হেলাল আহমেদ জানান, এ বছর শ্রীমঙ্গলে ২০টি নিলাম শেষ হয়েছে। প্রতিটি নিলামে ধারাবাহিকভাবে চা বিক্রি বেড়েছে। জোগান ভালো থাকায় দাম খুব বেশি ওঠানামা করেনি। সাদা চা ও হলুদ চা এ বছরের নিলামে সেরা আকর্ষণ ছিল।