নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষকদের আমরণ অনশনের ঘোষণা
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশের দাবিতে আমরণ অনশনে যাচ্ছে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম।
আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে ৩০ মার্চ থেকে আমরণ অনশন শুরু করবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষক ফোরাম।
২০ মার্চ (শনিবার) ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বহুল কাঙ্ক্ষিত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বহুবার স্মারকলিপি প্রদান, বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ প্রতীকী অনশন পালন করা হয়। কিন্তু এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা নিবন্ধনধারীদের দ্রুত সুখবর দেয়ার আশ্বাস দিয়েও এখন পর্যন্ত তারা কিছুই বলছেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ১৭ মার্চের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। কিন্তু এমন ঐতিহাসিক একটি দিন অতিবাহিত হয়ে গেল, তাও কোনো সুখবর পেলাম না। আর কোনো আশার বাণী নয়, ২৯ তারিখের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে ৩০ তারিখ থেকে আমরণ অনশন শুরু হবে। যেখানে সারাদেশ থেকে প্রায় হাজার খানেক নিয়োগপ্রত্যাশী নিবন্ধনধারী অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।’
‘এছাড়া এই অসহায় নিবন্ধনধারীদের আর কোনো পথ খোলা নেই, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, এ কারণে আগামী ২৯ মার্চ এনটিআরসিএ ভবনের সামনে অবস্থান করে নিয়োগ প্রত্যাশীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করা হবে।’
এদিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে টেকনিক্যাল কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো শেষ করতে একটু সময় লাগছে। সেজন্য চাকরি প্রত্যাশীদের আরেকটু ধৈর্য ধরতে হবে। শিগগিরই নিয়োগ প্রত্যাশীরা সুখবর পাবেন। ’
তিনি বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তির পক্ষে-বিপক্ষে অনেকগুলো গ্রুপ কাজ করছে। এই অবস্থায় যদি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করে দেই তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে। গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ পিছিয়ে যেতে পারে। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ পিছিয়ে যাক সেটি এনটিআরসিএ চায় না। সেজন্য এই মুহূর্তে তারিখ ঘোষণা করতে পারছি না।’
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমি চাকরি প্রত্যাশীদের আরেকটু ধৈর্য ধরতে বলব। আমরা সব কাজ গুছিয়ে নিচ্ছি। ৫৭ হাজার প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। নির্ভুলভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করতে এই কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই নিয়োগ প্রত্যাশীরা সুখবর পাবেন।