কঠোর নির্দেশনায় সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু

0 154

সারাদেশে করোনা মহামারির প্রকোপ ঠেকাতে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকছে গার্মেন্টস, শিল্পকারখানা ও সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম। জরুরি সেবা এবং পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সবধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

লকডাউনের নির্দেশনা-

১. সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিস এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

২. সব পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

৩. শিল্প-কারখানার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে, শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

৪. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্য শস্য, খাদ্যদ্রব্য, পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-নাইন্টিন টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদী বন্দর, সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ, অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের করচারই ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

৫. জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।

৬. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা ও রাত ১২টা থেকে ভোর ছয়টা শুধু খাবার বিক্রি/সরবরাহ (টেকঅ্যাওয়ে/ অনলাইন) করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য সব দোকান বন্ধ থাকবে।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।

৯. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১০. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবীর নামাজে ২০ জন জমায়েত করতে পারবে।

দেশে সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন। উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ  রাস্তায় বা কোন স্থানে আড্ডা দিলে নেয়া কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.