প্রচলিত যাকাত ব্যবস্থা ও ইসলামি বিধান
এই যে আপনারা যেভাবে ইসলামকে অনুসরণ করে নামাজ পড়েন। রোজা রাখেন। কেউ কেউ হজ্জ করেন। কিংবা ইসলামের আরো আরো বিধি বিধান পালন করেন। ঠিক একইভাবে আপনারা যাকাত আদায় করেন? এই প্রশ্নের স্বাভাবিক উত্তর হলো আমরা যাকাত আদায় করি। বা মানুষের মাঝে যাকাতের অর্থ বন্টন করে দিই। হ্যাঁ। কথা ও অসঙ্গতি এখানেই। যাকাত আপনিসহ পুরো দেশ ও সমাজে যারা বিত্তবান শ্রেণির লোকজন আছেন ওনারা আদায় করে থাকেন। এবং এটার প্রচলন দেশে নানাভাবেই আছে।
এখন কথা হলো আপনারা যাকাত কিভাবে আদায় করেন? বা সমাজে প্রচলিত যাকাত ব্যবস্থা কতটুকু সঠিক ও ইসলামি শরিয়া আহ্ সম্মত? আদতে আপনার যাকাত আদায় হচ্ছে কিনা? এই প্রশ্নগুলো নিজের বেলায় কখনো করেননি! যদি এই প্রশ্নের উত্তর সমাজে খুঁজে বেড়ান তাহলে দেখবেন কেউ কেউ হয়তো শুদ্ধভাবে ইসলামি শরিয়া আহ্ অনুসরণ করে যাকাত আদায় করছেন। তবে অধিকাংশেই আমাদের দেশ ও সমাজে যাকাত আদায় বিশুদ্ধ পদ্ধতি বা ইসলামি শরিয়া আহ্ মোতাবেক করেন না। বর্তমান দেশ ও সমাজে যা প্রচলন আছে তা হলো যাকাত আদায়ের নামে মনগড়া মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করা। বিত্তবান পরিচয়ের কৌশল লব্ধ করা। কিংবা সমাজের বিভিন্ন মহলে খ্যাতি অর্জন করা।
যাকাত আদায় প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে। কিভাবে প্রদান করলে যাকাত শুদ্ধভাবে আদায় হবে তার তোয়াক্কা আমরা করি না। আমরা তা জানারও চেষ্টা করি না। অথচ নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করছি। নামাজ পড়ছি। রোজা রাখছি বা ইসলামের অন্যান্য বিধিমালা মেনে চলছি। কিন্তু যাকাতকে ইসলামের অন্য আরো বিধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি না। কিংবা অনেকে জানেনই না যাকাত ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খুঁটির একটি। শুধুমাত্র যাকাত দেয়া লাগবে এই মনে করে যেমন ইচ্ছা। যাকে ইচ্ছা যাকাত আদায় করলে যাকাতের সঠিক আদায় বা যথাযথ খাতে যাকাত প্রদান করা হবে না। এজন্য অবশ্যই আমাদের কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা ফলো করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ” নিশ্চয়ই যাকাত ফকির, মিসকিন ও সেই সব কর্মচারীর জন্য, যারা সদকা আদায়ের কাজে নিয়োজিত এবং যাদের চিত্ত আকর্ষণ বা মনোরঞ্জন করা হয়। আর দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধ, আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের (সাহায্যের) জন্য। এটা আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সুরা : তাওবা- আয়াত : ৬০]
কুরআনের এই আয়াতে যে আটটি খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার একটি খাত [ বিধর্মীদের মনোরঞ্জনের জন্য যাকাত প্রদান করা] রহিত হয়েছে হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব [ রা.] এর শাসনামলে। বাকি সাতটি খাত এখনো বহাল আছে। এবং এ সাতটি খাতের যথাযথ ব্যবহার করেই যাকাত প্রদান করতে হবে। উল্লেখিত সাতটি খাতের যে কোন খাতেই যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে। এবং এই সাতটি খাতে কোন কোন পদ্ধতি বা উপায় অবলম্বন করে যাকাত আদায় ও প্রদান করবেন তারও বিধিবিধান বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে কুরআন, হাদিস ও ফিকহে্র কিতাবগুলোতে। আপনারা বর্তমান সময়ের শরিয়াআহ্ বোর্ড বা ইসলামি স্কলারগণ যাকাত আদায়ের বিষয়ে সহজ ও সাবলীলভাবে সবিস্তারে যা বর্ণনা করছেন পত্রপত্রিকা বা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে তা অনুসরণ করেও যাকাত আদায় ও প্রদানের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। যাতে করে মানুষ ইসলামি বিধিনিষেধ অনুসরণ করে সহজ জীবনযাপন ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে পারে।
যাকাত আদায় প্রসঙ্গে হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব [রা.] বলেছেন,- ” যাকাত এমনভাবে আদায় করতে হবে যাতে করে একবার যাকাত প্রদান করা ব্যাক্তিকে দ্বিতীয়বার যাকাত প্রদান করতে না হয়।” এর মানে আপনি যাকে যাকাত দিবেন তাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করে দিবেন। যাতে পরেরবার যাকাতের অর্থ তার নেওয়া বা অন্যজন থেকে দেওয়ার প্রয়োজন না হয়। যাকাত আদায়ের মাধ্যমে তার যেন কর্মসংস্থান হয় বা সে যাকাতের অর্থ দিয়ে কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। এখন সমাজে প্রচলিত যাকাতের নামে যেভাবে শাড়ী, লুঙ্গি বা মানুষকে লাইন ধরিয়ে দুই, চার, পাঁচশো টাকা প্রদান করা হয় এই পদ্ধতিতে যাকাত আদায় ও প্রদান সঠিকভাবে হয় না। সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন হয় না। যেই পদ্ধতি অনুসরণ করে সমাজে যাকাত আদায় করা হয় তাতে না মানুষ সচ্ছল হচ্ছে। না মানুষের অভাব অনটন দূর হচ্ছে। অথচ যাকাত আদায়ের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো দারিদ্র্য বিমোচন ও সম্পদের সুষম বন্টন করা।
সমাজে যারা যাকাত দিয়ে থাকেন তাদের কেউ কেউ মনে করেন যাকাত আদায় করা বা গরীবদের প্রদান করা হলো ধনবান ব্যাক্তির অনুগ্রহ। তারা না জেনেই ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করে বেড়ায়। কিন্তু ইসলাম তো একথা বলে না। রাসুল [ সা.] বলেছেন,- ” যারা তাদের ধন-সম্পদ গচ্ছিত রাখে, কেয়ামতের দিন সেই সম্পদ তাদের উপর আযাবে পরিণত করে চাপিয়ে দেওয়া হবে। যা সর্প রূপে তাদের দংশন করতে থাকবে। এবং বলতে থাকবে আমরা তোমার সেই সম্পদ যা তোমরা গচ্ছিত রেখেছিলে বা আসক্ত ছিলে ” [ বুখারী ]। এর মানে হলো আপনার সম্পদে গরীবদের যে অধিকার রয়েছে তা জমা না রেখে তাদের কাছে সঠিক নিয়ম ফলো করে পৌঁছে দেওয়া। যদি তাতে গাফেলতি করেন তাহলে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হতে হবে। আর সাথে এটাও জেনে রাখেন যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান। এজন্যই ইসলাম মানবজাতিকে সতর্ক করেই মানবতার কথা বলে। আত্নীয়- স্বজন, অসহায়ের কথা বলে। একইসাথে গরীব ও প্রতিবেশীদের হকের কথা বলে।
আল্লাহ তায়ালা জানিয়েছেন- ” ধনীদের সম্পদে আছে গরীবদের হক।” এখানে হক বা অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অনুগ্রহের কথা নয়। এর দ্বারা সমাজে ধনবান মানুষের কাছে সকল সম্পদ দখল হয়ে থাকবে, তারা যেমন ইচ্ছে ভোগ করবে এটা ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম গরীবের অধিকারের কথা বলে। মানুষের হক তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। সুতরাং যারা যাকাত প্রদান করবে তারা যার যার খেয়ালখুশি মতে যাকাত দিতে পারবে না। বরং যে যাকাত প্রদান করবে তাকে ইসলামি নির্দেশনা মেনেই যাকাত প্রদান করতে হবে বা যাকাত আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি শাড়ি, লুঙ্গি বা অন্য কাপড় দিয়ে যাকাত আদায় ও প্রদান করতে পারেন। তবে যাকে যাকাত দিচ্ছেন তার প্রয়োজনীয়তার দিকে লক্ষ্য রেখেই আপনাকে যাকাত আদায় করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনের যেখানে নামাজ কায়েমের কথা বলেছেন সেখানেই যাকাত আদায়ের কথা স্মরণ করে দিয়েছেন। যাতে করে সমাজ ও রাষ্ট্রে ধনবানরা গরীবদের হক বা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ভুলে না যায়।
বিভিন্ন নিদর্শনাবলির মাধ্যমে আল্লাহ এ কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চান যে, তোমরা শুধু নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত আদায় করলে হবে না একইসাথে যাকাতও আদায় করতে হবে। আল্লাহ কোরআনের অসংখ্য আয়াতেই বলেছেন,- ” যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, আর তারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী।”
[সুরা.লুকমান- ৪]। তো আমরা যারা মুসলিম। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশনা মেনে চলতে চাই, তাদের উচিত নামাজের সাথে সাথেই যাকাত আদায় এবং ইসলামের অন্য আরো যে বিধিমালা রয়েছে সেগুলো পালন করা। অন্যথায় আল্লাহ এমনটাও বলেছেন,-” যারা যাকাত প্ৰদান করে না তারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী। ” [সুরা ফুসসিলাত- ৭] একথা শুধু দুয়েকটা আয়াতে বলা হয়নি বরং অসংখ্য আয়াতে ইঙ্গিত দিয়ে দিয়ে নানাভাবে যাকাত আদায়সহ অন্যসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর এই বিধানকে লঙ্ঘন করেন কিংবা অমান্য করেন তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ দুঃসংবাদ আল্লাহ তায়ালা বলেন,- ” আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [সুরা. আল ইমরান- ৮৫] সুতরাং কোন অবস্থাতেই সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। মানুষ যাতে সীমা লঙ্ঘন না করে তার জন্যেই মহান আল্লাহ তায়ালা তার নিদর্শন বর্ণনা করেছেন। একইসাথে সকল বিষয়ে রাসুলের হাদিসেও বর্ণিত হয়েছে ব্যাপকভাবে।
তো যাকাত বিষয়ে এতোসব কিছু বর্ণনার লক্ষ্য হলো মানুষ যেন প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় যাকাত আদায়ের অন্ধ পদ্ধতি ভেঙে দিয়ে ইসলামি শরিয়া আহ্ ও সঠিক নিয়মে যাকাত আদায়ের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। কারণ, এই যাকাতই হলো ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। যাকাত যেমন দরিদ্র, অভাবী ও অসচ্ছল মানুষের সামাজিক মর্যাদা বাড়ায়। সচ্ছলতা বাড়ায়। তেমনিভাবে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাকা সচল করে। যাকাত আদায়ের মাধ্যমে সম্পদ পবিত্র হয়। পরিশুদ্ধতার সাথে সম্পদের বৃদ্ধি হয়। একইসাথে দারিদ্র্য বিমোচন হয়। এভাবে সঠিক যাকাত আদায় ও প্রদান করার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।
আজকে দেশে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট এর কথা বলেন। সামাজিক সংস্থার কথা বলেন। বা ইসলামি নির্দেশনা ফলো করা অন্য আরো দশ প্রতিষ্ঠানের কথা বলেন কিংবা ধনবান মানুষের কথা বলেন। এদের যে কেউ চাইলেই ইসলামি শরিয়াআহ্ অনুসরণ করেই যাকাত আদায় ও প্রদান করতে পারেন। বা কোন কোন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি নির্দেশনা মেনেই এই অবারিত কল্যাণের কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ আমাদের দেশে এসবের ব্যাপক প্রচলন নেই। উদ্যোগ নিয়েও করা হচ্ছে না। সমাজে যারা বা যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব উদ্যোগে যেভাবে যাকাত দেওয়া হয় তাতে দরিদ্র মানুষেরা কিছুটা উপকৃত হলেও যাকাতের পরিকল্পিতভাবে বন্টন ও দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আসছে না। এই যাকাত আদায়ের কাজ পরিকল্পিতভাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে করতে হবে যাতে মানুষ দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্তি পায়। সচ্ছলতা পায়। কল্যাণের সাথে সুন্দর জীবন পায়।
রাসুল [সা.] এর সময়কাল থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে যাকাত আদায়ের প্রচলন হয়ে পরবর্তীতে এই ধারা খোলাফায়ে রাশেদার যুগ পেরিয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কোন কোন দেশে এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে যাকাত আদায় জারি আছে। তবে অধিকাংশ দেশে নেই। এবং মানুষ যখন রাসুলের আর্দশ ও যাকাত আদায়ের যে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তা ভুলে যাচ্ছে তখনই সারাবিশ্বে দারিদ্র্যতা ও মানুষের অভাব অনটন চেপে বসছে। একইসাথে অর্থনৈতিক মন্দাও ভর করে আছে। এভাবে চলতে চলতে বর্তমান সময়ে এসে আর সেই নির্দেশনা ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় যাকাত আদায় বা উদ্যোগ না থাকায় যাকাত দেওয়া ফরজ হওয়া শর্তেও আজ দেশের মানুষ যাকাত পরিকল্পিতভাবে দিচ্ছে না। সঠিক নিয়ম মেনে আদায়ও করা হচ্ছে না। একইসাথে রাষ্ট্রীয় ও বিভিন্ন উদ্যোগে যা আদায় করা হচ্ছে তা শরিয়াআহ্ নির্দেশনা মেনে প্রদান করাও হচ্ছে না। যার কারণে দারিদ্র্য বিমোচনে একটি দেশ ও সমাজ কল্যাণ বয়ে আনতে পারছে না কোনভাবেই।
অথচ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা ইসলামিক স্কলার কিংবা ইসলামি শরিয়াআহ্ অনুসরণ করে যাকাত আদায় করলে। সঠিক ব্যবস্থাপনা চালু করলে। একইসাথে যাকাতের অর্থের সুষম বন্টন নিশ্চিত করা গেলে বর্তমানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাত যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করি। সর্বোপরি এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের সাথে সাথে কিংবা তার বাহিরে এসে যদি ব্যাক্তি ও সমাজ পর্যায়ে যাকাতের অর্থ আদায় করে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে যাকাতের টাকা অসচ্ছল মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। সুষম বন্টন করা যায়। একইসাথে পরিকল্পিতভকবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যায়। তবেই যাকাত দারিদ্র্য বিমোচনে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও দশের কল্যাণ বয়ে আনবে। এবং সেইসাথে পরকালে নাযাতের জরিয়া বা উসিলা হবে।
লেখক- মিজান ফারাবী, কবি ও প্রাবন্ধিক।