বরেণ্য গীতিকার ফজল-এ-খোদার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরেণ্য গীতিকার ফজল-এ-খোদার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এ ছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা ফজল-এ-খোদা তার সৃজনশীল কর্মের মধ্য দিয়ে সংগীতপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
উল্লেখ্য, গীতিকবি ফজল-এ-খোদা (৮১) আজ রোববার ভোরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতার সঙ্গে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি।
১৯৬৩ সালে বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ফজল-এ-খোদা। অবসরে যান বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক হিসেবে। ফজল-এ-খোদার লেখা ও আব্দুল জব্বারের গাওয়া ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি একাত্তরে স্বাধীনতাকামী বাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল।
এ ছাড়া ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রং শাড়ী পড়ে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’র মতো শ্রোতাপ্রিয় গান লিখে গেছেন তিনি।
গান লেখার পাশাপাশি ছড়াকার, সংগঠক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন ফজল-এ-খোদা। শিশু কিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সত্তর দশকে তিনি শিশু কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ সম্পাদনা করেন।
তার লেখা ১০টি ছড়াগ্রন্থ, ৫টির কবিতার গ্রন্থসহ তার মোট ৩৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।