ডিজেল-কেরোসিনের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের আহ্বান সিপিডির-দেশী টুয়েন্টিফোর

0 406

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সরকারের ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ভুল আখ্যা দিয়ে তা থেকে সরে এসে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কতটুকু প্রয়োজন ছিল?’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। আমরা যদি ন্যায্যতার কথা বলি, সেই ন্যায্যতার দিক থেকেও এটা একটা অন্যায্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

লোকসানের জন্য বিপিসিকে দায়ী করে তিনি বলেন, বিপিসির লোকসানের কারণ কী? আমরা জানি, এখানে সুশাসনের অভাব রয়েছে। বিপিসির তেল সংগ্রহ, বিক্রি, মার্কেটিং সিস্টেমে অব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের অভাব সম্পর্কিত অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা বিভিন্ন মার্কেটিং কোম্পানিকে দিয়ে তেল মার্কেটিং করে। সেখানেও আমরা দেখি দুর্নীতির খবর এসেছে।

এখন তেলের দাম ২৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, অথচ বাসের ভাড়া প্রকৃতপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং রাজনৈতিকভাবে এটা কোনো আলোকিত সিদ্ধান্ত নয়। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।

তিনি বলেন, ২০২২ অর্থবছরে প্রক্ষেপণ হচ্ছে বিপিসি থেকে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ সরকার ৭ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা আয় করবে। সুতরাং ৭ হাজার দুইশ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে এ আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করলে আর বাড়তি টাকার প্রয়োজন হয় না। শুধু আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট সমন্বয় করেই সরকার লোকসানের টাকা সমন্বয় করতে পারে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.