আর্জেন্টিনার অপেক্ষার প্রহর আরও বাড়লো
ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার খেলা বিশ্ব ফুটবলপ্রেমীদের কাছে যেনও আলাদা এক আনন্দ। তবে সেই আনন্দের কোনো পক্ষেই বাড়তি প্রেরণা দিতে পারেনি লাতিন আমেরিকার ‘সুপারক্লাসিকো’ খ্যাত দল দুটি।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বুধবার (১৭ নভেম্বর) আর্জেন্টিনার সান জুয়ানে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয় ম্যাচটি। তবে এই ম্যাচে গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হয়েছে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে ইতোমধ্যে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। তাই আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাদের এই ম্যাচ ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এই ম্যাচে জয় পেলে তাদেরও কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত হতো। কিন্তু ড্র করায় তাদের অপেক্ষার প্রহর আরও বাড়লো।
১৩ ম্যাচ থেকে ৩৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচ থেকে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এই লড়াইকে লাতিন আমেরিকায় ডাকায় হয় সুপারক্লাসিকো নামে। তবে এবারের ক্লাসিকোর ‘ক্লাসিক’ তকমা যেন কিছুটা মলিন হয়েছিল নেইমারের অনুপস্থিতিতে। আগের দিনই চোট পান তিনি। ফলে এই ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনার মাটিতে পা-ই রাখেননি পিএসজি তারকা। ব্রাজিল থেকে সরাসরি চলে গেছেন প্যারিসে।
তবে ব্রাজিল দলে নেইমার না থাকলেও অন্তত আক্রমণে আর্জেন্টিনার চেয়ে পিছিয়ে ছিল না তিতের দল। আর্জেন্টিনার মতোই ৯টি শট নিয়েছে দলটি, যদিও মেসিদের চেয়ে একটি কম, দুটো শট ছিল লক্ষ্যে। ফাউলের দিক থেকে এ ম্যাচে দুই দলই লড়েছে সমানে। ২১টি করে ফাউল করেছে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। তাতে একটা রেকর্ডও গড়া হয়ে গেছে ২টি দলের মধ্যে। কনমেবল অঞ্চলের চলতি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এর চেয়ে বেশি ফাউল হয়নি আর কোনো ম্যাচেই।
এ তো গেল কেবল সংখ্যার খেলা, কিন্তু ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এ দ্বৈরথ তো বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছে ভিন্ন কারণে; দারুণ সুন্দর, আক্রমণাত্মক ফুটবলের কারণে। সে আক্রমণাত্মক ফুটবলটাই যেন দেখা গেল না ম্যাচে। দুই দলই ছিল নিজেদের ছায়া হয়ে। শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য ড্র থেকেই মাঠ ছাড়ে মেসি-নেইমারদের দল।