স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা ‘একমাত্র পেশাগত ব্রত ’
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে আজ সকালে ৮১তম রাষ্ট্রপতি প্যারেড ২০২১-এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েই নবীন ক্যাডেটদের হাতে দায়িত্ব পড়ল, তোমরা দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। এই দায়িত্ব পালনে সব সময় সজাগ থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে একমাত্র পেশাগত ব্রত।’
সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা দেশের সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের ‘একমাত্র পেশাগত ব্রত’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে দেশের সন্তান হিসেবে তাদের সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার অংশীদার হতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রোববার সকালে ৮১তম রাষ্ট্রপতি প্যারেড ২০২১-এ যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছিলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েই নবীন ক্যাডেটদের হাতে দায়িত্ব পড়ল, তোমরা দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। এই দায়িত্ব পালনে সব সময় সজাগ থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে একমাত্র পেশাগত ব্রত।’
যেকোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের সন্তান হিসেবে এ দেশের মানুষের পাশে থাকতে হবে। জনগণের সব প্রয়োজনে তোমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার অংশীদার হতে হবে।’
স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা। স্বাধীনতার চেতনাকে সব সময় সমুন্নত রাখতে হবে। এই আদর্শ নিয়েই নিজেদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ মেনে চলতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু কখনও আমরা যদি বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হই, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতাও আমরা ইতিমধ্যে অর্জন করেছি।’
দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করব।’
সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘নতুন নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি।’
আধুনিক সব সরঞ্জাম সেনাবাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। আওয়ামী লীগের সরকারের হাত ধরেই সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের একাডেমিতে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।