নরসিংদীতে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদীতে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। গত রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শহরের ঘোড়াদিয়ার সংগীতা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনায় স্বামী ফখরুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সে পরকীয়ার কারণে স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম।

তিনি জানান, নিহত রেশমীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এমন বিষয় নিয়ে তার স্বামী তাকে সন্দেহ করতো। এরই জের ধরে স্বামী ফখরুল মিয়া তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে।

নিহতরা হলো— রেশমী আক্তার (২৬) ও তার দেড় বছরের শিশুসন্তান সালমান সাফায়াত। নিহত রেশমী পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে।

স্বজনা জানান, গত দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে রেশমীর সঙ্গে ঘোড়াদিয়া সংগীতা এলাকার মো. সাইফুল্লার ছেলে ফখরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেশমীর ওপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে ফুটফুটে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সবশেষ রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রেশমী ও তার শিশুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

ফখরুলের বাবা সাইফুল্লাহ বলেন, রবিবার রাত ১২টায় ফখরুল বাহির থেকে বাসায় আসে। পরে রাত ২টায় ফখরুলের বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পরে আমরা রুমে গিয়ে রেশমী ও তার ছেলে সালমানকে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পাই। আমাদের উপস্থিত টের পেয়ে ফখরুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তার বড় ভাই ধাওয়া দিয়ে তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে।

নিহতের বাবা পারভেজ মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েটাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। আমরা কষ্ট পাবো ভেবে আমার মেয়ে আমাদেরকে কিছুই বলত না।

তিনি আরও জানান, ফখরুল মাদকাসক্ত ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম না। এসব তথ্য আমাদের কাছ থেকে গোপন রেখে বিয়ে দিয়েছিল। এখন আমি আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।

খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।