২০২২ সালের শেষদিকে কাতারে বসবে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে হবে ফুটবল মহাযজ্ঞ। তবে কাতারের মতো ফুটবলে পিছিয়ে থাকা একটি দেশের পক্ষে এত বিশাল কর্মযজ্ঞ আয়োজন সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল অনেকের। কিন্তু তেল-সমৃদ্ধ ধনী দেশটি তাদের ভুল প্রমাণ করে এরইমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে।
সম্প্রতি কাতারের মাটিতে বসেছিল আরব কাপের আসর। এই টুর্নামেন্ট মূলত অনেকটা কনফেডারেশনস কাপের মতোই, যা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক আয়োজন হিসেবে ধরা হয়। সেই আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে কাতার। এবার আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের অপেক্ষা। এ লক্ষ্যে ঘরোয়া সূচিতে কাটছাঁট করছেন অনেক খেলোয়াড়। অনেকে ক্লাব ফুটবল থেকে সাময়িক বিরতি বা ছুটি নিচ্ছেন, যাতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার আগে তৈরি থাকা যায়।
কাতারে মরুর বুকে বিশ্বকাপ ঘিরে সবচেয়ে বড় সংশয় ছিল সেখানকার তীব্র তাপমাত্রা। কিন্তু আরব কাপ সেই সংশয় অনেকটাই দূর করতে পেরেছে। কারণ বছরের এই সময়টায় সাধারণত সেখানকার তাপমাত্রা তুলনামূলক সহনশীল পর্যায়ে থাকে। পরের শীতে কাতারের বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার করে দর্শক উপস্থিত থাকবেন। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম বানিয়েছে আয়োজক দেশটি। যে স্টেডিয়ামগুলোতে থাকবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা।
এরইমধ্যে কাতার বিশ্বকাপের সব স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। আরব কাপের মাধ্যমে সেই স্টেডিয়ামগুলোর প্রস্তুতিও দেখে নিল আয়োজক কমিটি। তবে মানবাধিকার প্রশ্নে এখনও কাতার বিশ্বকাপ সমালোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে স্টেডিয়ামগুলোর নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজের বাজে পরিবেশ ও স্বল্প পারিশ্রমিক নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো প্রতিনিয়তই আওয়াজ তুলছে। অনেক সংগঠন এমনকি কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের আহ্বানও জানাচ্ছে। তবে সব বিতর্ক পেছনে ফেলে বিশ্বের বড় বড় ফুটবল তারকা ও লাখ লাখ সমর্থককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কাতার।