অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চের মালিক গ্রেপ্তার
অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জ থেকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম এ পরোয়ানা জারি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আজম।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে গেলে আগুন লাগে। দগ্ধ হয়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৩৮ যাত্রী নিহত হন। এখনও ৫১ যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় গত শনিবার স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।
এ ঘটনায় লঞ্চের মালিক, মাস্টার, চালকসহ আটজনের নামে রোববার নৌ আদালতে মামলা হয়। ওই মামলার পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। পাশাপাশি লঞ্চটির ফিটনেস সনদ, নিবন্ধন, চালক ও মাস্টারের সনদও স্থগিত করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
মামলার আসামিরা হলেন—লঞ্চটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক হামজালাল শেখ, শামিম আহম্মেদ, রাসেল আাহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে।