ডেনমার্কে পানির নিচে গান

0 181

সমুদ্রে পানির নিচে গানবাজনা করা মোটেই সহজ কাজ নয়। ডেনমার্কের একটি শিল্পীগোষ্ঠী সেই অসাধ্যসাধন করেছে।

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিটুইন মিউজিক’ নামের ডেনিশ ব্যান্ড পানির নিচেই গানবাজনা করে অসাধারণ এক সাউন্ড এক্সপেরিমেন্টের সাহস দেখিয়েছে।

ব্যান্ডের গায়িকা নেনা বেক সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘পানির নিচে গান গাইলে শ্বাস ছাড়ার উপায় নেই। কারণ ছোট্ট এক এয়ার বাবলের মধ্য দিয়ে গান গাইতে হচ্ছে। সব বুদবুদ বের করে দিলে মাইক্রোফোনে প্রচণ্ড শব্দ হবে। তাই ছোট্ট বুদবুদ বের করে সামান্য শব্দে সেটি আবার শুষে নিতে হবে। এভাবেই গান গাওয়া যায়। ’

ডেনমার্কের ওরহুস শহরে নেনা এক পারফরম্যান্সের জন্য মহড়া করছেন। সংগীতশিল্পীরা দেড় মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে থাকতে পারেন। তারপর তাদের নিঃশ্বাস নিতে হয়।

নেনা বলেন, ‘আসলে যখন ইচ্ছে হয় তখনই মাথা তুলি। আমাকে নিচেই থাকতে হবে এমন কোনো চাপ নেই। আমার মতে, সবসময়ে উপরে উঠে বাতাস নেওয়ার সুযোগ থাকা জরুরি। ’

ড্রামের মতো বাদ্যযন্ত্রের ক্ষেত্রে পানির চাপ বাধা সৃষ্টি করে। কোন বাদ্যযন্ত্র পানির নীচে আদৌ বা কতটা ভালো কাজ করে, তা হাতেনাতে খতিয়ে দেখতে ‘বিটউইন মিউজিক’ গোষ্ঠীর সদস্যরা অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।

‘বিটুইন মিউজিক’ গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা লায়লা স্কোমেন বলেন, ‘আমরা এক সুইমিং পুল ভাড়া করে সেখানে গং ও বেহালা বাজিয়ে দেখেছিলাম। ছোট্ট বাদ্যযন্ত্র হিসেবে বেহালা সত্যি সংগীত সৃষ্টি করায় আমরা বেশ অবাক হয়েছিলাম। বেহালার স্ট্রিং বা তারের উপর একটানা চাপ ও গতি থাকায় সেটা সম্ভব হয়। ছোট্ট সাউন্ড সৃষ্টি হয়, শুনলে মনে হয় যেন বহু পুরানো কোনো রেকর্ডিং বাজছে। কারণ পানির নীচে মিডল রেঞ্জের ধ্বনি সৃষ্টি হয়। ’

Leave A Reply

Your email address will not be published.