‘পারকি সমুদ্র সৈকত হবে বিশ্বমানের পর্যটন নগরী’
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকত। এতে ৭১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক পর্যটন কমপ্লেক্সের নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ চন্দ্র।
আজ শনিবার দুপুরে পরিদর্শনে আসেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মাহমুদ কবির, উপ সচিব সাইফুল হোসেন, প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী অসীম শীল, নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী, বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ্ ও ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম।
জানাযায়, এ প্রকল্পের মধ্যে ১৭টি স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এত ১৪টি আধুনিক কটেজ রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি ডবল ডুপ্লেক্স কটেজ এবং ১০টি সিঙ্গেল কটেজ। চার তলাবিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস ভবন। এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকবে পর্যটন অফিস, দ্বিতীয় তলায় থাকবে দুইটি দোকান, একটি রেস্টুরেন্ট, তৃতীয় ও ৪র্থ তলায় থাকবে ২টি বার, একটি ২৫০ আসনের কনভেনশন হল। তিন তলাবিশিষ্ট ১টি সার্ভিস ব্লক, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থাসহ পর্যটকদের জন্য সিঙ্গেল ব্যাচেলর সার্ভিস রুম ৩৫টি, কমপ্লেক্সের সার্ভিস স্টাফদের জন্য ৪৪টি রুম রয়েছে। একটি ওয়াশ ব্লক, যেখানে নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া একটি লেক, একটি ঝুলন্তব্রিজ, দুইটি পিকনিক শেড, কুকিং শেড। একটি খেলার মাঠ, যার মধ্যে ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা থাকবে এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধাও রাখা হচ্ছে। প্রত্যেকটি ভবনের সামনে সাজানো বাগান থাকবে।
পর্যটন কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী অসীম শীল বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পারকি হবে বিশ্বমানের পর্যটন নগরী। কোভিডের কারণে নির্মাণ কাজ একটু ধীরগতিতে হয়েছিল। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।