চট্টগ্রামে জয়ী প্রার্থীর ভাইকে খুন, পরাজিত মেম্বার গ্রেপ্তার

0 211

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়াকে কেন্দ্র করে জয়ী প্রার্থীর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় আসামি আজগর আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার আজগর আলী উপজেলার বগাবিল এলাকার মৃত নবীর হোসেনের ছেলে।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, নিহত ইউসুফ আলী রাজানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. তৈয়বের ভাই। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ১ নম্বর রাজানগরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩ নম্বর বগাবিল ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন বর্তমান মেম্বার তৈয়ব ও আজগর আলী। নির্বাচনে আজগর আলী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। এই পরাজয়ের কারণেই আজগর আলীর মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তৈয়ব মেম্বারের সাথে শত্রুতা বাড়তে থাকে। পরে এই ক্ষোভ থেকেই আজগর আলী তৈয়ব মেম্বারের উপর বেশ কয়েকবার হামলা করেন। সর্বশেষ এ বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারি তৈয়ব মেম্বারের প্রবাসী ভাই ইউসুফ আলীর ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি ১০ দিন আইসিউতে থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরণ করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘গত ২ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে রাণীরহাট বাজার থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে বগাবিলি ব্রিজের কাছে মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর (৪৫) ওপর হামলা করে দুস্কৃতিকারীরা। এসময় তার হাত-পা-মাথাসহ শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। গুরুতর আহতাবস্থায় ইউসুফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় ১২ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ইউসুফ। এতে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। র‌্যাব জানতে পারে মামলার এক নম্বর আসামি নগরীর সদরঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার আজগর আলী হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেও বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

র‌্যাব জানায়, ইউসুফ আলী রাজানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. তৈয়বের ভাই। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ১ নম্বর রাজানগরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩ নম্বর বগাবিল ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন বর্তমান মেম্বার তৈয়ব ও আজগর আলী। নির্বাচনে আজগর আলী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। এই পরাজয়ের কারণেই আজগর আলীর মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তৈয়ব মেম্বারের সাথে শত্রুতা বাড়তে থাকে। পরে এই ক্ষোভ থেকেই আজগর আলী তৈয়ব মেম্বারের উপর বেশ কয়েকবার হামলা করেন। সর্বশেষ এ বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারি তৈয়ব মেম্বারের প্রবাসী ভাই ইউসুফ আলীর ওপর হামলা চালানো হয়। ১০ দিন আইসিউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘গত ২ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে রাণীরহাট বাজার থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে বগাবিল ব্রিজের কাছে মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর (৪৫) ওপর হামলা করে দুস্কৃতিকারীরা। এসময় তার হাত-পা-মাথাসহ শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। গুরুতর আহতাবস্থায় ইউসুফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় ১২ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ইউসুফ। এতে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। র‌্যাব জানতে পারে মামলার প্রধান আসামি নগরীর মাইলের মাথা এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি মো. সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার আজগর হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেও বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরপরই চট্টগ্রামে চলে আসে আজগর। পরবর্তীতে সে আবার রাঙ্গুনিয়ার ফিরে যায় এবং জয়ী মেম্বারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এছাড়া মামলা তুলে না নিলে তার প্রবাসী ভাইয়ের মত পরিণতি হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.