সৈকতে পরীমনির নতুন ছবিকে ঘিরে শুভমন্তব্যের ঝড়!
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। গত বছরের শেষদিকে ঝড় বয়ে গেছে তার জীবনে। জেল, আদালতে দৌড়ঝাঁপের মধ্যেই কেটেছে বেশিটা সময়। এর মাঝে আবার অভিনয় ও অসুস্থও ছিলেন তিনি। করেছেন বিয়েও। বর্তমান সময়টা অবশ্য ফুরফুরে মেজাজে কাটছে তার। যার প্রমাণ মেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
তবে এখানেও চলছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। যা তৈরি হয়েছে ফেসবুকে প্রকাশিত কয়েকটি ছবি ঘিরে। সবশেষ গত রোববার বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সমুদ্র পাড়ে স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে পরী উন্মুক্ত বেবি বাম্পের একটি ছবি প্রকাশ করেন যেখানে অন্তঃসত্ত্বা পরীমনিকে আগলে রেখেছে স্বামী রাজ।
এই ছবিকে ঘিরে হয়েছে অনেক আজেবাজে মন্তব্য। পাশাপাশি ছবিটি ঘিরে অনেকে করেছেন শুভ মন্তব্যও। জানিয়েছেন শুভকামনা।
আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছেন, ‘গর্ভবতী পরীমনি ও তাঁর সঙ্গীর একটা ছবি, ছবিটা আপনারা দেখেছেন। যতবার ছবিটা দেখি, মুগ্ধ হই কেবল। কি মিষ্টি কি সুন্দর কি পবিত্র একটা ছবি! সমুদ্র সৈকতে একজন নারী ও পুরুষ, সবকিছু ছাপিয়ে এমনকি বিশাল সমুদ্রকেও ছাপিয়ে যেটা আপনার দৃষ্টি কাড়বে সেটা হচ্ছে নারীটির স্ফীত গর্ভ। মানুষের প্রেম, ভালবাসাবাসি ও একটি নতুন মানুষের আগমনী বার্তা সব মিলিয়ে এই ছবিটা তো একটা মহান শিল্পকর্ম হয়েছে
যে ফটোগ্রাফার এই ছবিটা তুলেছেন (আলোকচিত্র শিল্পীর নাম চোখে পড়লো না কোথাও) সেই শিল্পীর প্রতি আমার একটু ঈর্ষাও হচ্ছে। কি পবিত্র একটি শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন তিনি! এইটা হচ্ছে সেইসব চিরায়ত শিল্পের একটা যেসব শিল্পকর্ম সকল যুগেই আধুনিকের চেয়েও আধুনিক।
কিছু বামন ধরনের দাসসুলভ লোকের কটু বক্তব্যও চোখে পড়েছে। বেশ জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব করে কটু কথা বলছে এইরকম লোকেরা। এরা যুগে যুগে বিরাজ করে। ওদেরকে নিরাপদেই উপেক্ষা করতে পারেন। এদের একেকজনের আনুগত্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বটে, কিন্তু চিন্তার দিক দিয়ে এরা হচ্ছে কুয়োর তলায় আটকে থাকা সেইসব মণ্ডূক যাদের জন্যে আপনি কেবল একটু মায়া ও করুণা করতে পারেন আর কামনা করতে পারেন ওদের যেন দাসদশা থেকে মুক্তি হয়।
চমৎকার ছবি একটা। ছবির মডেল পরীমনি নাকি চারুমনি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মেহেরবানী করে নিজের প্রতি দয়া করুন, চোখ খুলে ছবিটা দেখুন- দৃষ্টি উম্মোচন করে দেখুন। পবিত্র ছবি পরিষ্কার চোখে দেখতে হয়, আপনার মস্তিষ্কের নোংরা ময়লাগুলি যদি দৃষ্টিকে আচ্ছন্ন করে রাখে তাইলে সৌন্দর্য দেখতে পাবেন না।’
আরেক নেটিজন শাশ্বতী বিপ্লবী পরীমনির ছবিটি নিজের ফেসবুক দেয়াল থেকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এইখানে, দেখার বিষয় পরিমনীর পেট না। দেখার বিষয় হইলো, পরিমনীর সৎসাহস এবং অকপটতা। আর আমি সেইটারেই এডমায়ার করি। ক্রমশঃ হিজাব আর বোরখায় ঢাইকা যাওয়া এই মানচিত্রে পরিমনীর এই দুঃসাহসরে আমি ভালোবাসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হলিউডে, এমনকি বলিউডেও, বহু সেলেব্রিটি নায়িকা বেবীবাম্পের ছবি প্রকাশ করসেন এর আগে৷ আমরা মুগ্ধ হইয়া দেখসি। সমস্যা হইলো, আমার দেশে এর আগে কোন সেলেব্রিটি এই সাহস দেখায় নাই। পরীমনি দেখাইসেন।’
মাউন উল করিম সমু লিখেছেন, কয়দিন হলো পরীমনি তার বেবি বাম্পের একটা ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিটা সোশাল মিডিয়াতে আসার পর থেকে সেন্সিবল সবাই মোর অর লেস ছবিটাকে এপ্রিশিয়েট করেছেন, স্নিগ্ধ সুন্দর একটা ছবি।
আরেকজন নেটিজন মন্তব্য করেছেন, পরীমনির এ ছবিতে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ গালাগালি হা হা যারা দিয়েছে তাদের জন্মের আগে তাদের মায়েদের পেটও এরকম উঁচু ছিলো। তাদের মায়েরাও তাদের পেট নিয়ে সকলের সামনে যেতে বিব্রত লজ্জ্বিত কুন্ঠিত হতো। অথচ এদের জন্ম দিতেই হবে। সেই জন্ম নিয়ে কেন বিব্রত হবে নারী?