পাকিস্তানে মন্দিরে হামলা, ২২ জনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গত বুধবার (১১ মে) পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) এই রায় ঘোষণার পরে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের পাঠানো হয় বহাবলপুর সেন্ট্রাল জেলে।
এটিসি বিচারক (বাহওয়ালপুর) নাসির হুসেন এই রায় ঘোষণা করেন। বিচারক ২২ জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬২ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
দ্য ডন ও দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে পঞ্জাবের রাজধানী লাহৌর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে রহিম ইয়ার খান জেলার ভোঙের গণেশ মন্দিরে হামলা চালায় একদল লোক। এক হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে মন্দিরে হামলা চালানো হয়। কয়েকশো উন্মত্ত মানুষ ভাঙচুরের পাশাপাশি মন্দিরের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ওই মন্দিরে হামলার পরপরই সক্রিয় হয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ও ইমরান খান সরকার।
সে সময় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইমরান খান আশ্বাস দেন যে, দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেবেনা সরকার।
এদিক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে মামলা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত।
ঘটনার পরপরই হামলার ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয় ৯০ জনকে। মোট ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
হিন্দু মন্দির ধ্বংসের প্রতিবাদে পাক পার্লামেন্টে পাশ হয় নিন্দা প্রস্তাব। এছাড়া মাস খানেকের মধ্যেই মন্দিরটি সংস্কার করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয় পাক সরকার।